ইন্টারনেটে পরিচয় হয় স্বপ্নের রাজকন্যার সঙ্গে। তারপর দুজনের মন দেয়া নেয়া। এরপর দায়িত্ববান প্রেমিকের মতো ধুমধাম করে বিয়ে করে প্রেমিকাকে। কিন্তু বিয়ের দুইদিন পরই বাধে বিড়ম্বনা। স্ত্রী নিরুদ্দেশ। শুধু যে স্ত্রী তা নয়, সঙ্গে বিয়ের উপহার এবং দশ হাজার চাইনিজ ইউয়ানও গায়েব।
সম্প্রতি চীনের হিউয়াং জেলার একটি থানায় ওয়াং নামের এক ব্যক্তি এমন অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানতে পারেন- যাকে নিজের প্রেমিকা বলে জেনে এসেছেন তিনি আসলে একজন পুরুষ এবং পোশাক পরিবর্তন করে এতদিন তার সঙ্গে প্রতারণা করে এসেছে।
তিনি যখন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তখন পার্শ্ববর্তী শহর রুজহুতে অন্য এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন মিয়াও জিয়ামিন নামের এক নারীর সঙ্গে তার অনলাইনে পরিচয় হয়। তারপর তাকে ধোঁকা দিয়ে ৩১ হাজার ইউয়ান নিয়ে উধাও হয়েছে ওই নারী।
পরবর্তীতে পুলিশ জিয়ামিন নামের ওই ব্যক্তির সন্ধান করতে থাকেন। এরপর তারা একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে তার সন্ধান পান। পুলিশ ভেবেছিল হয়তো কোনো নারী এমন প্রতারণা করছে কিন্তু পরবর্তীতে দেখতে পান সে আসলে কোনো নারী নয় একজন পুরুষ। মিয়াও সংটাও নামের ২৭ বছর বয়সি ওই পুরুষ নারী সেজে এতদিন সবাইকে ধোঁকা দিয়ে এসেছে। পরবর্তীতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নারীদের পোশাক, হিল জুতো, পরচুলা, বিভিন্ন কসমেটিকস পাওয়া গেছে।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার প্রতারণার কথা স্বীকার করে মিয়াও সংটাও। সে জানায়, গত এক বছর যাবৎ সে ১১ জন পুরুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং তাদের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। তবে মজার বিষয় হলো, ভুক্তভোগীদের মধ্যে একমাত্র ওয়াং নামের এই ব্যক্তিটিই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে।