আজকাল অনেকেই অনলাইনেই সারছেন অফিস বা নিজের উদ্যোগের কোনো কাজ। এর ফলে স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহার যেমন বাড়ছে তেমন বাড়ছে ইন্টারনেট খরচও।
এ জন্য ইন্টারনেটের খরচ বাঁচাতে বাসা বা অফিসের ব্রডব্যান্ড সংযোগটিকে ওয়াই-ফাই করে নেওয়া ভালো। তবে অনেক সময় খরচ কমানোর বা কাজের সুবিধার এই উদ্যোগটি বিরক্তির কারণ হতে পারে। কারণ একটাই, নেটের ধীর গতি।
সাধারণত বেশ কয়েকটি কারণে গতি কমতে পারে আপনার বাসা বা অফিসের ওয়াই-ফাই এর। আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন কমে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেটের গতি আর তার থেকে প্রতিকারের উপায় কী?
অচেনা ব্যবহারকারী
১. ওয়াই-ফাই সংযোগের গতি কমার প্রথম কারণ হতে পারে একাধিক ব্যবহারকারী। একই সংযোগের ইন্টারনেট অনেক ব্যবহার করলে গতি কমবে ইন্টারনেটের।
২. সাধারণত অনেক সময় বাসা বা অফিসের আশাপাশের অনেকেই পাসওয়ার্ড জেনে যায়। অগোচরেই তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে থাকেন।
৩. এই অবস্থায় প্রথমে চেক করতে হবে অচেনা বা অজানা কেউ আপনার ওয়াই-ফাই ব্যবহার করছে কিনা। এটি চেক করতে ওয়াই-ফাই রাউটারের ড্যাশবোর্ড প্রবেশ করে আইপিগুলো চেক করুন। সেখানে দেখবেন
৪. বর্তমানে কয়টি সংযোগ আপনার ওয়াই-ফাই ব্যবহার করছে। সেখান থেকে অচেনা আইপিগুলো ব্লক করে দিন।
৫. আবার ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেও এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
স্বয়ংক্রিয় আপডেট
১. কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে স্বয়ংক্রিয় আপডেট অনেক সময় চালু থাকে। ফলে ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক অ্যাপ্লিকেশন আপডেট হতে থাকে। এতে ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। ব্রাউজ করার সময় ওয়াই-ফাই সংযোগ ধীর মনে হয়।
২. তাই ওয়াই-ফাই সংযোগ স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর মনে হলে ডিভাইসটিতে কোনো সফটওয়্যার অটো আপডেট হচ্ছে কিনা তা চেক করে নিন।
রাউটারের অবস্থান
১. রাউটারের অবস্থানও নেটের গতির উঠানামার কারণ। তাই ওয়াই-ফাই সংযোগের গতি কম হলে সেটি এমন এক স্থানে রাখতে হবে যেখান থেকে ডিভাইসের দূরত্ব খুব বেশি না হয়।
২. এক্ষেত্রে রাউটারটি উপরে রাখা হলে খুব ভালো ফল মিলবে। যত উপরে রাখা হবে ততো ভালো গতি পাওয়া যাবে। রাউটারটিকে উপরে রাখা হলে এর রেডিও ওয়েভগুলো সর্বোচ্চভাবে ব্রডকাস্ট করতে সক্ষম হয়।