বঙ্গবন্দু সাফারি পার্কে প্রকৃতি ও পশু প্রেমি পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়
বশির আলমামুন, চকরিয়াথেকে :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্দু শেখ মুজিব পার্কে কোরবানের টানা ৯ দিনের ঈদের ছুঠিতে প্রকৃতি ও পশু প্রেমি পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবারে হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে পার্কে। তাদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে সাফারি পার্কের পরিবেশ।ঈদের দিন মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত লাগাতার ৫দিন দর্শনার্থীর আগমনে পার্কের ভীতর তিল ধারনের ঠাই ছিলনা।এ সময় অন্তত ৫০ হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘেেট। এতে পার্কে প্রায় ১০ লক্ষাদিক টাকার টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে গেইট ইজারাদার জানান।দর্শণার্থীরা ২০ টাকার টিকেট ক্রয় করে পার্কের অভ্যন্তরে মনের আনন্দে দর্শনীয় স্থান, মাদারট্রি গর্জন,হরেক রকম গাছগাছালি ,লতাগুল্ল,দেশীবিদেশী পশুপাখী,সাপ,কুমির কচ্ছপ সহ জীববৈচিএ ও দর্শনীয় স্পট গুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। পার্কের প্রথম গেইটে প্রবেশ করেই বাম পাশে রয়েছে প্রকৃতি বীক্ষন কেন্দ্র ও ন্যাচারাল হিষ্ট্রি মিউজিয়াম। যা থেকে আগত পর্যটকরা পার্কের জীভবৈচিএ ও বিলুপ্ত প্রাণী সম্পর্কে সহজেই ধারনা নিতে পারে।
জানাগেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার পর্যটক কোরবানের ঈদের বন্দে¦ ছুটে এসেছে বঙ্গবন্দু সাফারি পার্ক দেখতে।এমন কি বিদেশি পর্যটকরা ও পরিভ্রমনে আসে এ সময়।
সরেজমিনে পার্কের ভীতরে ঘুরে দেখাগেছে আগত নারী, পুরুষ, শিশু দর্শনার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করে প্রফুল্ল মনে ও মনের আনন্দে গগন চুম্বী শতবর্ষী গর্জন ট্রি ও বাশঁ ঝাড়ের ভিতর দিয়ে যাওয়া পীচ ঢালা মেঠো পথে জীববৈচিএ উপভোগ করছে।ঘন জঙ্গলের ভিতর হাটতে গিয়ে পিন পতন নিরবতায় দর্শনার্থীর গা যেন শিউরে উঠে। ঝি ঝি পোকা এবং পাকপাখালীর কিচির মিচির শব্দে ভাঙ্গে সেই নিস্তব্দতা।পথের দু’ পাশে খাঁচায় আবদ্ব প্রাণীর পশু ও পাখী শালায় পর্যটকরা ঘুরে ফিরে খাঁচার ভিতর হরেক রকমের প্রাণী গুলো দেখছে।যেমন পশু শালায় রয়েছে বাঘ, ভাল্লুক, সিংহ, সাম্বার, মায়া হরিণ, চিতা, খরঘোশ, বানর, শিয়াল,লাম চিতা, উল্টোলেজী বানর, হনুমান,বনবিড়াল পাখীশালায় উটপাখী, ময়ূর, দোয়েল, ময়না, বনমোরগ, সারষ,টিয়া, বাজ পাখী পানিতে জলহস্তি, কুমির, কচ্ছপ ও অজগর সাপ সহ নানা ধরনের প্রাণী ঘুরে ঘুরে দেখছে।তবে বাঘ ভাল্লুক সিংহের জন্য রয়েছে আলাদা বিশাল বেষ্টনী।এ ছাড়া ও বিদেশি প্রাণী যেমন জেব্রা,ওয়াইলবিষ্ট,কদু,স্প্রীংবক পর্যটকদের নজর কাড়ে।এছাড়া বাড়তি আকর্ষন হল পার্কের ভিতরের সচ্ছ পানিতে ভরপুর বিশাল প্রাকৃতিক লেকের ধারে হানিকের জন্য বসলে নীল পানির আভা দর্শনার্থীদের মনটা /শরীরটা জুড়িয়ে যায়। এ সময় লেকের ধারে বিচরণ রত হরিণের দল যেন সুন্দরবনকে ও হার মানায়।দেখা গেছে দর্শনার্থীদের কেউ তাদের বাচ্ছাদের নিয়ে হাতির পিঠে চড়ছে আবার কেউ অনেক উচুঁ পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে উঠে সাফারি পার্কের বিশাল এলাকা অবলোকন করছে।
চট্রগ্রাম থেকে পার্ক ভ্রমনে আসা আয়েশা বেগম মিনার এর সাথে কথা বলে জানা গেছে যে ভাবে আগ্রহ নিয়ে পার্কে এসেছে সে রকম আনন্দ পায়নি। আগের মত অনেক জীববৈচিএ এখন চোখে পড়ছেনা। তাছাড়া বিদেশি প্রাণি গুলোও দেখা যাচ্ছেনা। তদুপরি ভিতরে নেই খাবারে কোন রেষ্টুরেন্ট নেই কোন নিরাপত্তা ব্যবস্তা।সব মিলিয়ে বেহাল অবস্তা।
সাফারি পার্কের রেন্জ কর্মকর্তা মোরশেদুুুুল আলম জানান গত ঈদের তুলনায় এবার এর ঈদে দর্শক সমাগম একটু বেশি হয়েছে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে শুক্রবার দর্শক সমাগম বেশি হতে পারে।পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পুলশি মোতায়েন করা হয়েছো