জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাবি শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপার
সাগরকর্মকার,জাবিপ্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রান্তিক ও ডেইরি গেটের সামনের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের স্পীডব্রেকার সরিয়ে ফেলায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপারে বাধ্য হচ্ছে জাবির শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও কোন মাথাব্যাথা। আর এ নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
গত ১৫ই অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাষ্ট্রীয় সফরের অংশ হিসেবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। তার স্মৃতিসৌধে আসার ফলে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ২২ টি স্পিডব্রেকার সরিয়ে ফেলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এর অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেট (মূল ফটক) এবং প্রান্তিক গেটের স্পিডব্রেকারও সরিয়ে ফেলা হয়।
ডেইরি গেটে একটি ওভারব্রীজ থাকলেও প্রান্তিক গেটে কোন ওভারব্রীজ নেই। ফলে ডেইরি গেটে শিক্ষার্থীরা ওভারব্রীজের মাধ্যমে রাস্তা পারাপার হলেও প্রান্তিক গেটে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে। ফলে এখানে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আগে স্পীডব্রেকার থাকলেও এখানে কয়েকটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্পীডব্রেকার থাকার পরেও যেখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সেখানে স্পীডব্রেকার না থাকলে কি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
স্পিডবেকার থাকার পরও প্রান্তিক গেটের রাস্তা পার হওয়াটা বেশ ঝুঁকির। ওভারব্রিজের ব্যবস্থা করার সামর্থও দেখাচ্ছে না প্রশাসন। তার ওপর আবার স্পিডবেকার তুলে দিয়েছে। ”
স্পিডব্রেকার থাকা স্বত্ত্বেও ৪১ ব্যাচের স্বপ্না সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই মারা যায়। আবারও যদি ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়, দায়দায়িত্ব আসলে কার? দায়দায়িত্ব যারই হোক, একটি পরিবারের আজীবনের কান্না কিন্তু আর ঠেকানো যাবে না। অবিলম্বে আবার স্পিডব্রেকার স্থাপন করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং তারা সড়ক ও জনপদ বিভাগকে জানিয়েছে। আশা করছি অতি দ্রুতই তারা স্পীডব্রেকার প্রতিস্থাপন করবে।”