News Bangla 24 BD | বাঙালি বিজ্ঞানীর হাত ধরে ‘আবেগপ্রবণ’ হচ্ছে রোবট
News Head

বাঙালি বিজ্ঞানীর হাত ধরে ‘আবেগপ্রবণ’ হচ্ছে রোবট


চীনা মন্দিরে হলদে জোব্বা পরে রোবট বলেছে ‘বুদ্ধং শরণং’। হাতে রংতুলি ধরে সে ছবি এঁকেছে। সেনাবাহিনীর কাজ ভাগ করে নিয়েছে, চাষাবাদের কাজে হাত লাগিয়েছে, এমনকি রোবো-রাঁধুনি প্যান কেক পর্যন্ত বানিয়ে আপনার ডাইনিং টেবিলে হাজির করেছে ভোরে। এবার এই রোবটই মেজাজ বিগড়ে গেলে বলবে, ‘আমাকে এখন বিরক্ত করো না’।

খেলতে ইচ্ছা হলে আবদার করবে খেলতে নিয়ে যাওয়ার। কখনও আবার আপনার বকাঝকা শুনে মুষড়েও পড়তে পারে। অর্থাৎ মানুষের মতোই আবেগী হয়ে পড়বে সে। আর যন্ত্রমানবের মধ্যে আবেগের এই বীজটি বপনের কাজ করছেন বাঙালি এক বিজ্ঞানী। তিনি শ্রীদত্তা চট্টোপাধ্যায়।

জন্ম ভারতের হাওড়ায়। তিনি ইসরায়েলের বেন গুরিয়োঁ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিউম্যান রোবট ইন্টার‌্যাকশন নিয়ে গবেষণা করছেন। তার গবেষণার বিষয়বস্তু হল রোবটের ভিতরে কীভাবে ইমোশন স্থাপন করা যায়। একজন দক্ষ সহকারীর কাছ থেকে মানুষ কী আশা করে? কাজে সাহায্য করা তো বটেই, বসের না বলা কথাগুলোও যেন সে বুঝতে পারে।

বসের সঙ্গে সহকারীর সম্পর্কের গোড়ার কথাটাই হল এই ‘নন-ভার্বাল কমিউনিকেশন’। গবেষণায় দেখা গেছে, ৮২ শতাংশ বার্তা আদান প্রদান হয় অমৌখিক বার্তা বা ‘নন-ভার্বাল কমিউনিকেশন’ এর মাধ্যমে।

আপনি কখন রেগে আছেন, কখন একটু একা থাকতে চাইছেন, ভালো সহকারী এগুলো বুঝবেন খুব সহজেই। কেমন হয় যদি এই সহকারী একজন যন্ত্রমানব হয়? শ্রীদত্তার কাজটা ঠিক সেখানেই।

মানুষ আর তার হাতে গড়া রোবটের মধ্যে ভাবের আদান প্রদানের ভাষা বা ‘নন-ভার্বাল কমিউনিকেশন’ এর ভাষাকে খুঁজে বের করা। খুঁজে বের করা বলা ভুল হবে। কেননা শ্রীদত্তা সেই ভাষাটাকেই তৈরি করছেন। সূত্র: আনন্দবাজার।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ