দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা নারীদের প্রতি কল্যাণকামী হও। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম, আমি আমার স্ত্রীদের নিকট উত্তম। বর্তমানে সমাজে নারীপ্রতি করা হচ্ছে নির্মম, নির্দয় নির্যাতন। এমন কোনো নির্যাতন নাই যাই করা হয় না। অথচ পৃথিবীতে একজন পুরুষ মানুষের জন্য সর্বোত্তম সম্পদ হচ্ছে নেককার স্ত্রী। যা জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো আব্দুল্লাহ ইবনে আমর হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “পুরো দুনিয়া ভোগের সামগ্রী, আর সবচে` উপভোগ্য সম্পদ হল নেককার নারী।”(মুসলিম)
নেককার স্ত্রী পছন্দ করতে চারটি জিনিস দেখতে বলা হয়েছে- বুখারি ও মুসলিমে আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, চারটি গুণ দেখে নারীদের বিবাহ করা হয়- ১. সম্পদ, ২. বংশ মর্যাদা, ৩. সৌন্দর্য ও ৪. দীনদারি। তবে ধার্মিকতার দিক প্রাধান্য দিয়েই তুমি কামিয়াব হও নয়তো তোমার হাত ধুলি ধুসরিত হবে। (মুত্তাফাকুন আলাইহি) এখানে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীনদারির তথা ধার্মিকতার কথাই তাগিদ দিয়েছেন। যার স্ত্রী দ্বীনদার হবে, দুনিয়াতেই সে লাভ করে বেহেশতের শান্তি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চারটি বস্তু শুভ লক্ষণ। যেমন- ১. নেককার নারী, ২. প্রশস্ত ঘর, ৩. সৎ প্রতিবেশী, ৪. সহজ প্রকৃতির আনুগত্যশীল-পোষ্য বাহন। পক্ষান্তরে অপর চারটি বস্তু কুলক্ষণা। তার মধ্যে একজন বদকার নারী। (হাকেম, সহিহ আল জামে)
সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরুষদের যেমন নেককার নারী গ্রহণ করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন, তেমনি নারীদেরকে আদর্শ নারীর সকল গুনাবলী অর্জনের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। যাতে তারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় নেককার নারী হিসেবে গণ্য হতে পারে। আল্লাহ পৃথিবীর সব মুমিন নারীকে নেককার সন্তান, নেককার স্ত্রী ও নেককার মা হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।