
শুভ শুভ্র: চলনে-বলনে পরিপাটি। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং সেভাবে কোনোদিন করেননি। সময় নিয়ে ম্যাচের কোমর সোজা করতে ওস্তাদ। সিঙ্গেল আর সময়মতো কয়েকটা শট খেলে বিপদ পার করা। আদর করে দলের অনেকেই তাকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলে থাকেন। এই খেতাব নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর কাটিয়ে দিলেন।
২০০৭ সালের ২৫ জুলাই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে ওয়ানডে ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রথম লাল-সবুজের জার্সিতে মাঠে নামেন।
মঙ্গলবার বিসিবিতে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করলেন। দীর্ঘ পথ চলতে চলতে একটা উপলব্ধি হয়েছে। বেশ বুঝতে পারেন আধুনিক ক্রিকেটে নিজেকে ফিট রাখতে পারাই সবচেয়ে বড় কথা।
মাশরাফি চলে যাওয়ার পর কে হবেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যেয়ে অনেকেই রিয়াদের নাম বলে ফেলেন। সেই সম্ভাবনা বেশি জেগেছে বিপিএলের কারণে। রিয়াদ যে অধিনায়ক হিসেবে যোগ্য সেটাও এই বিপিএল থেকেই বোঝা গেছে।
‘মানসিকভাবে এখন আমি আগের চেয়েও গোছাল, ইতিবাচক এবং আক্রমণাত্মক’, রিয়াদ এই কথা বলেন আর চোখে-মুখে আলোর ঝিলিক খেলিয়ে যান, ‘ফিটনেসও আগের চেয়ে অনেক ভালো। এটা ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা করে আরো কয়েকটা বছর খেলে যেতে চাই।’
রিয়াদ এখনো সেই প্রথম দিনগুলোর মতো পরিশ্রম করে যান। এখনো নেটে ঢুকলে ঘণ্টা কাটিয়ে দেন। বললেন, ‘শক্তির যে জায়গাগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে প্রতিনিয়তই কাজ করছি। কষ্টের কোনও বিকল্প নেই। তবে এটা ধরে রাখাই জরুরি। বাড়তি একটা দায়িত্বতো এসেই যায়।’