ঘাড়ের ত্বক কালো হওয়ার সমস্যা অনেকের পিছু ছাড়ে না। সূর্যরশ্মি ও বয়সবৃদ্ধি ঘাড়ের ত্বকের বিবর্ণতার প্রধান কারণ। এছাড়াও জিনগত কারণ, ডায়াবেটিস, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, স্বাস্থ্যবিধি না মানা, হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া বা কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে ঘাড়ের ত্বক কালো হতে পারে।
কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমেই এই সমস্যাটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন উপায়গুলো-
কাঠবাদাম :
ত্বকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন আছে কাঠ বাদামে। এছাড়াও এতে আরো কিছু পুষ্টি উপাদান আছে যা ত্বকের কালচেভাবের সমস্যা দূর করতে পারে।
কাঠবাদাম পিষে গুঁড়ো করে নিয়ে ১ চা চামচ কাঠবাদামের গুঁড়ার সাথে এক চা চামচ পাউডার দুধ ও এক চা চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। পেস্টটি ঘাড়ের পাশে ও পেছনে ভালো করে লাগান। আধা ঘণ্টা রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে চারবার লাগান।
৪/৫টি কাঠবাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন। সকালে বাদামগুলো পিষে পেস্ট করে ঘাড়ে লাগিয়ে কয়েক মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক বা দুই দিন এটা করুন।
বেকিং সোডা :
ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্য বেকিং সোডা একটি ভালো এক্সফলিয়েন্ট। বেকিং সোডার সাথে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঘাড়ে লাগান। এভাবে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কমলার খোসা :
কমলা চমৎকারভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে পারে। কমলার খোসা শুকিয়ে ভালোভাবে গুঁড়ো করে, এর সাথে দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। কালো ঘাড় থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মিশ্রণটি ঘাড়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা :
অ্যালোভেরা চমৎকার ভাবে ত্বকের দাগ দূর করতে পারে। অ্যালোভেরা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও আরো অনেক উপকারি উপাদান সমৃদ্ধ যা ত্বকের মেরামত ও নতুন কোষ সৃষ্টিতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার পাতা থেকে তাজা অ্যালোভেরার জেল নিয়ে ঘাড়ের ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন এটা করুন।
শশা :
শশা পাতলা করে কেটে ঘাড়ে লাগিয়ে ম্যাসাজ করলে এক্সফলিয়েটের কাজ হয় এবং মরা চামড়া উঠে আসে। শশা থেতলে নিয়ে বা জুস করে নিয়ে ঘাড়ে লাগিয়ে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে নিলে ঘাড়ের কালো দাগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে।