বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়েছিলেন এক ব্রিটিশ যুবতী। ঘটনাচক্রে, সন্তান পৃথিবীর আলো দেখল বিয়ের দিনেই। স্মরণীয় দিনে জীবনের সেরা উপহারটি পেয়ে আপ্লুত নবদম্পতি। বিরল এ ঘটনায় খুশি আত্মীয়-পরিজনরাও। ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের বাসিন্দা বছর উনিশের তরুণী ড্যানি মাউন্টফোর্ড। গত ১৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন ড্যানি ও তার প্রেমিক কার্ল। বিয়ের সময়ে ৩৭ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন ওই তরুণী। জানুয়ারিতে সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই বিয়ের দিনই জন্ম নিল ড্যানি ও কার্লের প্রথম সন্তান। পরিস্থিতি এমনই ছিল যে, হাসপাতালে যাওয়ার আগে বিয়ের পোশাকটাও খোলার সুযোগ পাননি ড্যানি। তবে জীবনের এই স্মরণীয় দিনে সন্তানের জন্ম দিতে পেরে বেজায় খুশি ওই তরুণী।
ড্যানি মাউন্টফোর্ড বলেন, এটা বেশ বড় একটা চমক। আমাদের বিয়ের দিনটা আরও স্মরণীয় হয়ে গেল। সারা জীবন এ দিনটার কথা মনে থেকে যাবে। বিয়ের পর তখন স্বামী কার্লের সঙ্গে নাচছিলেন ড্যানি। নাচতে নাচতেই তিনি টের পান, পেট থেকে কিছু একটা বেরিয়ে আসতে চাইছে। দ্রুত মায়ের কাছে ছুটে যান ড্যানি। মেয়ের কেন এমনটা মনে হচ্ছে, তা বুঝতে দেরি হয়নি মায়ের। তড়িঘড়ি ড্যানিকে বাথরুমে নিয়ে যান তিনি। বছর উনিশের ওই ব্রিটিশ তরুণী বলেন, বাথরুমে যাওয়ার পর, অতিথি সকলেই আমার খোঁজ নিচ্ছিলেন। কেউ একজন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িও বুক করে ফেলে। বিয়ের পোশাক পরেই লেবার রুমে ঢুকি। প্রায় ছয় ঘণ্টা লেবার রুমে থাকার পর, একটি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিল ড্যানি। এদিকে, বিয়ের অনুষ্ঠান তখনও শেষ হয়নি। বাকি রয়ে গেছে নবদম্পতির কেক কাটাও। তবে সেসব নিয়ে অবশ্য এখন আর কোনো আক্ষেপ নেই ড্যানির। তিনি বলেন, ‘জলের ঝাঁপটায় আমার বিয়ের পোশাক নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অনুষ্ঠান কাটছাঁট করতে হয়েছে। কিন্তু, তাও আজকের দিন আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ চিকিৎসক জানিয়েছেন, সময়ের প্রায় এক মাস আগে জন্ম হলেও সন্তান ও মা দুজনেই ভালো আছে।