বিশ্ব ইজতেমার আশপাশে বিদ্যুৎ ভাড়ার নামে চলছে দ্বিগুন অর্থ আদায়
মৃণাল চৌধূরী সৈকত, টঙ্গী : টঙ্গীতে অনুষ্টিতব্য বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে নিউ অলিম্পিয়া টে´টাইল মিলস মাঠ ও নিউ মন্নু টেক্স টাইলস মিলস মাঠ, অলিম্পিয়া বর্জিত তুলা মার্কেটসহ বিভিন্ন গলি এবং টঙ্গী বাজার হোন্ডা রোড, মাজার বস্তি এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা অস্থায়ী কম্বল, শীতের কাপড়, কাঁচা তরকারীর মার্কেট বসিয়ে প্রতি বর্গফুট ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা, প্রতিদিন বিদ্যুৎ বাতি প্রতি ২শ’ থেকে ৫শ টাকা, পানির বিল দ্বিগুন হারে আদায়সহ চলছে চাঁদাবাজদের উপদ্রবে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইজতেমায় আসা ব্যবসায়ীরা বলেন, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে ময়দানের আশপাশে বিশেষ করে নিউ অলিম্পিয়া মাঠ, মন্নু টেক্স্রটাইল মিলস মাঠ, অলিম্পিয়া বর্জিত তুলা মার্কেট, টঙ্গী বাজার হোন্ডা রোড, আই আর আই রোড, মাজার বস্তিসহ আশপাশের এলাকার খালি জায়গা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগসহ বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন মার্কেট স্থানীয় তৃণমৃল সংগঠনের নেতা মিন্নত আলী মিনু, তার ছেলে মোহাম্মদ ও ভাতিজা কাজল মিয়া, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, বদিউজ্জামান বদি ও মিনু মিয়া ভাতিজা বিল্লাল হোসেন (অলিম্পিয়া ও মন্নু ট্রেক্সটাইলস মিলস এলাকা), স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা রুহুল আমিন মনির সরকার, বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান ডুব্লি, মো. শফিউদ্দিন শফি, যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক, হাজী মাজার বস্তির রফিকুলসহ তাদের সহযোগীরা (হোন্ডা রোড, মাজার বস্তি, আই আর আই রোড এলাকা) নাম মাত্র টাকায় লিজ নিয়ে নিয়ম বর্হিভূত প্রতি বর্গফুট ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা, প্রতিদিন বিদ্যুৎ বাতি প্রতি ২শ’ থেকে ৫শ টাকা, পানির বিল দ্বিগুন হারে জোরপূর্বক আদায় করছে। এছাড়াও বাজার এলাকায় ইজতেমা উপলক্ষ্যে আসা দোকানদারদের কাছ থেকে শামীম ও তার লোকজন নিয়ম বর্হিভূত জুলুম পূর্বক হাতিয়ে ৫/২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। শামীম ও তার লোকজনের অত্যাচারে ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছে না বলে হোন্ডা রোডের একাধিক ব্যবসায়ী জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানায়, আমরা প্রতিবার এখানে ব্যবসা করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে থাকি। হাতে গোনা দু-চারজন ব্যক্তিই প্রতিবছর মাঠ লিজ নিয়ে ক্ষমতার জোড়ে আমাদের হয়রানী করে থাকে। আগামীতে এসকল ব্যক্তি মাঠ ইজারা নিলে আমরা আর ব্যবসা করতে আসতে পারবো না, এভাবে প্রতি বছর ইজারাদারদের ভিট ভাড়া আর বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে লোকশান গোনা সম্ভব নয়। এতে করে সরকার বিদ্যুৎ খাতে ভুর্তুকিসহ প্রাপ্য লাখ লাখ টাকার ভ্যাট ও টেক্স্র থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর ইজতেমায় ব্যবসা করতে আসা সাধারণ ব্যবসায়ীরা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ। এব্যাপারে ইজারাদার মিন্নত আলীর মিনুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ জানিয়ে বলেন, আমি এসবের মধ্যে নেই তবে আমার ছেলেরা বিষয়টি দেখাশোনা করছে। এব্যাপারে থানা স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা রুহুল আমিন মনির সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, ইজতেমা উপলক্ষ্যে স্থানীয়রা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন থেকে এসব পরিত্যক্ত জায়গা গুলো লিজ নিয়ে ঘর নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের মাঝে ভাড়া দিয়ে থাকেন। ফলে এখানে আমাদের কিছু করার থাকে না। তবে লিজের বাইরে কেউ চাঁদাবাজি করলে আর ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।