বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দ্বিতীয় পর্বে মুসল্লির ঢল
মৃণাল চৌধুরী সৈকত, টঙ্গী : রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠ টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে চলছে তাবলীগ জামাতের মহাসম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা। দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বের বৃহত্তম জুমার জামাত। ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ মুসল্লি¬ ছাড়াও রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ বৃহত্তম এই জুমার জামাতে বিভিন্ন যানবাহন ও পায়ে হেঁটে শরীক হন। শুক্রবার বাদ ফজর বাংলাদেশের মাওলানা মো. ফারুক আমবয়ান করেন। আ’ম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার ৩ দিনের দ্বিতীয় পর্ব।
বিশ্বের প্রায় ৭৮টি দেশের প্রায় ৩ হাজার ৯শ’ ৮জন মুসল্লিসহ লাখ লাখ মুসল্লির অংশ গ্রহণে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমা অনুকুল আবহাওয়া ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকায় ইজতেমায় আগত মুসল্লিগণ স্বাচ্ছন্দে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বিদের বয়ান শুনছেন এবং এবাদত বন্দেগীতে মশগুল রয়েছেন। আগামীকাল রোববার দুপুর ১১ টার মধ্যে আখেরী মোনাজাত অনুষ্টিত হবে। আর এর মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে ৫২তম বিশ্ব ইজতেমা বলে জানিয়েছেন ইজতেমা আয়োজকরা। শুক্রবার ভোর রাত থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, শিশু-কিশোর নারী বৃদ্ধ বর্ণিতা জুমার জামাতে শামিল হওয়ার জন্য টুপি, পাঞ্জাবী পরে জায়নামাজ হাতে ইজতেমা মাঠের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। যতই সময় গড়াতে থাকে ততই মুসল্লি¬দের ঢল আঁছড়ে পড়ে তুরাগ নদের তীর ইজতেমাস্থলে। টঙ্গী, উত্তরা, কামারপাড়া, মিরপুর, আবদুল্লাহপুরসহ আশপাশের এলাকার মসজিদে শুক্রবারের জুমার জামাতে মুসল্লি¬ সংখ্যা ছিল খুবই কম। ইজতেমায় যারা বয়ান করলেন : বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনে বাদ আছর বয়ান করেন মাওলানা মো. ইউনুছ পলানপুরী, বাদ মাগরিব বয়ান করেন মাওলানা মো. আকবর শরিফ। বয়ান ইংরেজি, ফার্সি ভাষায় তরজমা করা হয়। মুসল্লিদের সুবিধার্থে তা বাংলায় তরজমা করা হয়। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জুমার নামাজ শুরু হয়। জুম্মার নামাজে ইমামতি করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের।
প্রথম দিনের বয়ান : বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বুজর্গরা বয়ান পেশ করেছেন। মূল বয়ান উর্দূতে হলেও বাংলা, ইংরেজী, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসি ভাষায় তাৎক্ষনিক অনুবাদ করা হচ্ছে। বিদেশী মেহমানরা মূল বয়ান মঞ্চের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বপাশে হোগলা পাটিতে বসেন। বিভিন্ন ভাষাভাষীর মুসল্লিরা আলাদা আলাদা বসেন এবং তাদের মধ্যে একজন মুরব্বি মূল বয়ানকে তাৎক্ষণিক অনুবাদ করে শুনান। বাদ জুমা বয়ানে মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, দুনিয়ার জিন্দেগী অনিশ্চিত জিন্দেগী, অক্ষম জিন্দেগী। দুনিয়ার জিন্দেগীকে ধোকার জিন্দেগী বলা হয়েছে। আর হাকিকতে বা বাস্তবতার দিক দিয়ে আসল জিন্দেগী হলো আখেরাতের জিন্দেগী। আখেরাতের জিন্দেগী হলো চিরস্থায়ী জিন্দেগী। অবশ্যই প্রত্যেক মানুষকে আখেরাতের জিন্দেগীতে যেতে হবে। প্রত্যেক মানুষকে দুনিয়ার জিন্দেগী ছেড়ে যেতে হবে। এতে কোন রকমের সন্দেহ নেই। তিনি আরো বলেন, আল্ল¬াহ তা’য়ালা আখেরাতের জিন্দেগীর খবর দিয়েছেন নবীদের মাধ্যমে। আখেরাতের জিন্দেগীর কখনও শেষ হবে না। তিনি বলেন, বুদ্ধিমান লোক সেই যে দুনিয়াতে থাকতেই আখেরাতের জিন্দেগীর প্রস্তুতি নেয়। মওতের আগে আগেই সে নিজেকে শুধরে সংশোধন করে নেয়। নিজের জীবনকে দ্বীন, ইসলাম, শরিয়ত ও সুন্নত মোতাবেক পরিচালিত করে আখেরাতের প্রস্তুতি নেয় তাকেই বুদ্ধিমান বলে। আর বোকা ও বুদ্ধিহীন লোক তাকেই বলে যে, নিজের মনমতো, নিজের খায়েশমতো চলে, আখেরাতের জন্য কোন প্রস্তুতি নেয় না অথচ আল্ল¬াহপাকের পক্ষ থেকে দয়া, ক্ষমা, রহমতের আশা করে কিন্তু আখেরাতের জন্য প্রস্তুতি নেয় না। কোন মেহনত করে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, নারায়নগঞ্জের ফুটপাটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যারা অস্ত্র প্রদর্শন করেছে তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে দ্রুত আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সর্বত্র অঞ্চল থেকে ইজতেমায় মুসল্লিরা আসছেন এবং তারা সুন্দর ভাবে ফিরে যেতে পারবেন। বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটি প্রতিবছর ইজতেমার আয়োজন করে থাকেন, আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে থাকি। বিশ্ব ইজতেমায় সকল প্রকার সুবিধা গত পর্বের মত-ই রয়েছে। মাওলানা সাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি ভাবে এ সমস্যা নিরসনে আমরা চেষ্ঠা চালাচ্ছি। তবে বিদেশি মুসল্লি চলে গেছে কিনা সে ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। আগামীতে বিশ্ব ইজতেমায় সাদকে কেন্দ্র করে কোন প্রভাব পরবেনা বলেও তিনি জানান।দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ব ইজতেমায় জুম্মার নামাজে অংশগ্রহন করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশের আইজিপি মো. এ কে এম শহীদুল হক, এডিশনাল আইজি ড. জাবেদ পাটওয়ারী, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রমুখ। ইজতেমা আয়োজক কমিটির বক্তব্য : সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতের পর দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার ময়দান প্রস্তুতের জন্য ইজতেমায় আগত তাবলিগ জামাতের কর্মীরা কাজ করেছেন। এছাড়াও প্রথম পর্বের ন্যায় দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা সফল করতে সরকারি ৭৫টি সংস্থা একযোগে কাজ করছে।সংস্থাগুলো ইজতেমার প্রথম পর্বের ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে পুরো ময়দানকে উপযোগী করে তুলছেন। এজন্য ময়দানে তাবলিগের কর্মীরাও বেশ কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও সহায়তা করা হয় বলে জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান। দ্বিতীয় পর্বেও সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ করেন। টঙ্গী হাসপাতালে চিকিৎসা : শুক্রবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বে প্রায় ৪ হাজার ৬শ’ ৪৭জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মুসল্লি চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগজনিত কারনে ১৪ জনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ১৪ জনকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পারভেজ হোসেন। এছাড়া ইজতেমাস্থলের পার্শ্ববর্তী ফ্রি-মেডিক্যাল ক্যাম্পগুলোতে হাজার হাজার মুসল্লি বিনামূল্যে বিভিন্ন রোগের ওষুধ সংগ্রহ ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও হামদর্দ, ইবনে সিনা, টঙ্গী ঔষধ কল্যাণ সমিতি হাজার হাজার মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। বিদেশী মুসল্লিদের অংশগ্রহণ: ইজতেমার প্রথম পর্বে সৌদি আরব, মিসর, ওমান, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, কাতার, কানাডা, কম্বোডিয়া, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, জার্মানী, ইরান, জাপান, মাদাগাস্কার, মোজাম্বিক, পানামা, সেনেগাল, দঃ আফ্রিকা, তাঞ্জানিয়া, রাশিয়া, আমেরিকা, জিম্বাবুয়ে, বেলজিয়াম, ক্যামারুন, চীন, কমোরেস, ফিজী, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, কুয়েত, মরক্কো, কাতার, বাহরাইন, ইরিত্রিয়া, জর্দান, মৌরিতানিয়া, ভারত, দুবাইসহ বিশ্বের একাধিক দেশের প্রায় সাড়ে ৬ হাজারসহ দ্বিতীয় পর্বে ৩ হাজার ৯ শ’ ৩৩ মুসল্লি ইজতেমা মাঠে এসে পৌছেনে বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। আরো প্রায় ৩ হাজার মুসল্লি আসার পথে রয়েছেন। বিভিন্ন ভাষা-ভাষী ও মহাদেশ অনুসারে ইজতেমা ময়দানে বিদেশী মেহমানরা ভিন্ন ভিন্ন তাবুতে অবস্থান করছেন। সেখানে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বে মুসল্লিদেও অবস্থান ও খিত্তা : দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় রাজধানী ঢাকাসহ ১৬টি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ঢাকা-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, জামালপুর ১, ২, ফরিদপুর, কুড়িগ্রাম, সুনামগঞ্জ, ঝিনাইদহ, ফেনী, কুমিল্লা ১, ২, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী ১, ২, খুলনা ১, ২, পিরোজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। এসব মুসল্লিরা ২৮টি ভিত্তায় অবস্থান করবেন। খিত্তা অনুযায়ী এসব জেলাগুলো হচ্ছে, ১নং খিত্তায় ঢাকা-০১, ২ নং খিত্তায় ঢাকা-০২, ০৩ নং খিত্তায় ঢাকা-০৪, ৪ নং খিত্তায় ঢাকা-১৯, ৫ নং খিত্তায় ঢাকা-২০, ৬ নং খিত্তায় ঢাকা-২১, ৭নং খিত্তায় ঢাকা-০৩, ৮নং খিত্তায় ঢাকা-২৩, ৯ নং খিত্তায় ঢাকা-২২, ১০ নং খিত্তায় ঢাকা-০৬, ১১নং খিত্তায় জামালপুর-০১, ১২নং খিত্তায় জামালপুর-০২, ১৩নং খিত্তায় ফরিদপুর, ১৪নং খিত্তায় কুড়িগ্রাম, ১৫নং খিত্তায় ঝিনাইদহ, ১৬নং খিত্তায় ফেনী, ১৭নং খিত্তায় সুনামগঞ্জ, ১৮নং খিত্তায় ঢাকা-০৭, ১৯নং খিত্তায় ঢাকা-০৫, ২০নং খিত্তায় চুয়াডাঙ্গা, ২১ নং খিত্তায় কুমিল্লা-০১, ২২নং খিত্তায় কুমিল্লা-০২, ২৩নং খিত্তায় রাজশাহী-০১, ২৪নং খিত্তায় রাজশাহী-০২, ২৫নং খিত্তায় খুলনা-০১, ২৬নং খিত্তায় ঠাকুরগাঁও, ২৭নং খিত্তায় খুলনা-০২ ও ২৮ নং খিত্তায় পিরোজপুর জেলার মুসল্লিগণ অবস্থান নিচ্ছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা : বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে নিয়োজিত ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ইজতেমাস্থল ও আশে-পাশের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পরিবেশন ও ভেজাল খাদ্য বিক্রয়ের বিষয়টি একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত তাদের নজরাধিতে রেখেছেন। হারানো ও প্রাপ্তি : ইজতেমা মাঠের পশ্চিম দিকে হারানো ও প্রাপ্তি সেন্টার খোলা হয়েছে। ময়দানে কেউ কিছু হারালে ও কিছু পাওয়া গেলে সেখান থেকে সঠিক তথ্য প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। মোবাইল চাজর্ ২০ টাকা : ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের জন্য হোন্ডা রোড, ভরান মাজার বস্তি, টঙ্গী বাজার, আশরাফ সেতু মার্কেন, ষ্টেশন রোড, কামারপাড়া রোড, নিউ মন্নু টেক্সটাইলস মিলস, নিউ অলিম্পিয়া টেক্স্রটাইল মিলস, মিলবাজার এলাকায় একাধিক মোবাইল চার্জের একাধিক দোকান খোলা হয়েছে। সেখানে প্রতি ঘন্টা ২০ টাকায় চার্জ দেয়া হচ্ছে। নামাজে কাগজ ও পানি বিক্রি : শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লি বিশেষ করে যারা নামাজের জায়নামাজ সাথে আনেননি তারা প্রতি পত্রিকার পাতা ৫ টাকা করে কিনে জায়নামাজ হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও কতিপয় ব্যক্তি জুমার নামাজকে কেন্দ্র ওযুর পানি প্রতি বদনা ৫/১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। নামাজ শেষে ইজতেমা ময়দান ও রাস্তায় হাজার হাজার পত্রিকার পাতা ও নামাজ পড়ার কাগজ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ইজতেমা ময়দানে ৩ ব্যক্তির জানাযা : গতকাল বিকেল পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানের বাইরে মৃত্যু বরণকারী ৩ ব্যক্তির জানাযা অনুষ্টিত হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা ময়দানে কোন মুসল্লি মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।গ্রেফতার : গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ইজতেমা ময়দান থেকে টঙ্গী, তুরাগ, উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম থানা থানা এলাকায় র্যাব, পুলিশ, জেলা ডিবি পুলিশ বিভিন্ন অপরাধে প্রায় অর্ধশত লোককে গ্রেফতার করেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত তাবলীগ জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় মুরব্বিরা পর্যায় ক্রমে আখলাক, ঈমান ও আমলের ওপর বয়ান পেশ করবেন।