সময় বদলেছে। তার সঙ্গে পালটে গিয়েছে মানুষের মন ও চরিত্রও। নারী-পুরুষের জীবনযাপনও সমান ভাবে বদলে গিয়েছে। মা-ঠাকুমাদের মতো এখন আর মহিলারা শুধুমাত্র সংসার সামলান না। বিয়ে মানে সারা জীবনের জন্য পরস্পরের সঙ্গে থাকা। সুখ-দুঃখে একই সঙ্গে পথ চলা।কিন্তু, সময় বদলেছে। তার সঙ্গে পালটে গিয়েছে মানুষের মন ও চরিত্রও। নারী-পুরুষের জীবনযাপনও সমান ভাবে বদলে গিয়েছে। মা-ঠাকুমাদের মতো এখন আর মহিলারা শুধুমাত্র সংসার সামলান না।
স্বামীর আয়েই যে শুধু সংসার চলে এখন, এমনটা একেবারেই নয়। বর্তমানে সমান ভাবে উপার্জন করেন মহিলারাও। ফলে, কাজের শেষে বাড়ি ফিরে এসে স্বামী-স্ত্রীর এক সঙ্গে সময় কাটানোর দিন এখন প্রায় অতীত। ফলে, সংসারে ভাঙন ধরতেও সময় লাগছে না।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে এমন কয়েকটি কাজের ক্ষেত্র রয়েছে, যার ফলে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে অবশ্যম্ভাবী। মার্কিন সেনসাস ব্যুরো-র ‘আমেরিকান কমিউনিটি সার্ভে’ সম্প্রতি এক সমীক্ষা চালিয়ে হদিশ দিয়েছে এমনই কয়েকটি পেশার কথা।
১। গেমিং ম্যানেজার— হোটেল বা ক্যাসিনোয় কর্মরত কোনও গেমিং ম্যানেজারের দিনের ২৪ ঘ্ণ্টার বেশির ভাগটাই কেটে যায় রিসর্ট বা ক্যাসিনোতে। নিজের সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগই পান না এঁরা। সমীক্ষা বলছে, সব থেকে বেশি সংখ্যায় বিবাহবিচ্ছেদ হয় এদেরই, প্রায় ৫২.৯%।
২। বারটেন্ডারস— এই পেশাতেও বিবাহবিচ্ছেদের হার রয়েছে খুবই বেশি, প্রায় ৫২.৭%। বেশিরভাগ সময়েই গভীর রাত পর্যন্ত এঁদের কাজ করতে হয়। পাশাপাশি মদ্যপ গ্রাহকদের সামলাতেও হয় অনেক সময়। সব মিলিয়ে জীবন তাদের দুর্বিষহ।
৩। ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টস— কাজের জন্য বিশ্ব জুড়ে ঘুরে বাড়ানোর এমন সুযোগ রাজনৈতিক নেতা, অভিনেতা ছাড়া এঁদেরই রয়েছে। সঙ্গে নিখরচায় ভাল হোটেলে থাকার ব্যবস্থাও। কিন্তু, এমন কর্মজীবনের জন্য তলানিতে গিয়ে ঠেকে এঁদের সংসার জীবন। এই প্রফেশনে ৫০ শতাংশেরও বেশি বিবাহবিচ্ছেদ হয় বলে জানা গিয়েছে সমীক্ষায়।
৪। মার্কেটিং/ সেল্স— মাসের বেশিরভাগ সময়টাই এই প্রফেশনালদের কাটে নিজের শহরের বাইরে বাইরে। আর শহরে থাকলেও, রাত পর্যন্ত মিটিং বা লেট নাইট পার্টি। ব্যস! সংসার জীবনের শেষ হতে বেশি সময় লাগে না এঁদের। সংখ্যার হিসেবে প্রায় ৫০ শতাংশ।
৫। টেলিমার্কেটিং— সকাল থেকেই এদের কর্মব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। কাস্টমার কল ও তাদের অভিযোগ শুনতে শুনতেই কেটে যায় সারাটা দিন। সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানো দূরস্থান, কথা বলার এনার্জিও থাকে না। ফলে, সম্পর্ক টিকে থাকা খুবই চাপের। এই পেশার মানুষদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের হার ৪৯.৭০ শতাংশ।