শেষ ওভারের নাটকীয়তায় বাংলাদেশকে হারালো ভারত। আরেকবার ফাইনালে হারের বেদনায় সিক্ত হলো সাকিব-মুশফিকরা। শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে জেতালেন দিনেশ কার্তিক।
রোহিত শর্মার ব্যাটে ঝড়ো সূচনা করেছিল ভারত। বাংলাদেশ জোড়া আঘাত করলেও তার পারফরম্যান্সে অস্বস্তি কাটছিল না। শেষ পর্যন্ত ৫৬ রানে তাকে ফেরান নাজমুল ইসলাম। এরপর সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আরও একটি উইকেট হারিয়ে ভারত চাপে পড়েছিল।
শেষ ২ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৩৪ রান। দিনেশ কার্তিকের ঝড় এক ওভারে ২২ রান নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরায়। শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল তাদের।
১৬৭ রানের লক্ষ্যে নেমে রোহিতের ব্যাটে দুরন্ত সূচনা করেছিল ভারতীয়রা। তবে ৩২ রানের জুটি ভেঙে তাদের ধাক্কা দেয় বাংলাদেশ।
তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে দুটি উইকেট পায় তারা। সাকিব আল হাসানের বলে শিখর ধাওয়ান ১০ রানে বদলি ফিল্ডার আরিফুল হকের দুর্দান্ত ক্যাচ হন। পরের ওভারে রায়নাকে রুবেল হোসেন পেছনে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি করেন। আম্পায়ার ওয়াইড দিলেও মুশফিক রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত যায় বাংলাদেশের পক্ষে।
রোহিতের সঙ্গে ৫১ রানের জুটি গড়ে দশম ওভারে রুবেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন লোকেশ। ১৪ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৪ রানে ডিপ স্কয়ার লেগে সাব্বির রহমানকে ক্যাচ দেন তিনি।
নাজমুল তার শেষ ওভারে রোহিতকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানান। ৪২ বলে চারটি চার ও তিনটি ছয়ে ৫৬ রান করেন তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টানা দুই ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। যুজবেন্দ্র চাহালের লেগ স্পিনে তাদের বড় ধাক্কা দিয়েছিল ভারত। কিন্তু সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করে বাংলাদেশ। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৭ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি করেন। তার ৫০ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ৪ ছয়।
শেষ দিকে জয়দেব উনাড়কাট জোড়া আঘাত হানলেও সাব্বিরের ৭৭ রানে লড়াই করার মতো স্কোর করেছে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ ১৮ রান যোগ করেন। ৭ বলে তার অপরাজিত ১৯ রান ভালো ভূমিকা রেখেছিল। চাহাল সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি পান উনাড়কাট।