শ্রীপুরে টার্কি পালনে আগ্রহ বাড়ছে যুবকদের
শ্রীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে টার্কি পালন।টার্কি পালনে আগ্রহ বাড়ছে যুবকদের ।স্বল্প পুঁজির কারনে বেকার যুবকদের মাঝে টার্কি পালন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ।শ্রীপুরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে টার্কি মুরগির খামার সেই সাথে চাহিদা বাড়ছে টার্কি মুরগির মাংশের প্রতি ।ঘাস ও লতাপাতা টার্কির খাবার হওয়ায় টার্কি পালনে খরচ খুবই কম হয় ।টার্কি সাধারনত দানাদার খাবার ছাড়াও কলমি শাক,বাঁধাকপি ও সবজি জাতীয় খাবার খায় ।ফলে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্ম-সংস্থান ,লাভবান হচ্ছেন খামারিরা । সরেজমিনে জানাযায় ,উপজেলা তেলিহাটি ইউনিয়নে বেশ কয়েকজন টার্কি খামারি আছে।এদের মধ্যে তেলিহাটি ই্উপি টেংরা গ্রামের শহিদুল্লাহ ছেলে জহিরুল ইসলাম এর খামারে প্রায় এক শতটি টার্কি রয়েছে ।টার্কি গুলোর বয়স ছয় মাস চলছে । অল্প সময়ের মধ্যে টার্কিগুলো ডিম দানের উপযোগী হবে ।প্রতিটি টার্কি বছরে ডিম দেয় ১০০ থেকে ১৫০টি করে ।একই গ্রামের টার্কি খামারি বিল্লাল হোসেনের ছেলে রুমান জানান ,তার খামারে প্রায় ২০ টি টার্কি রয়েছে ্এদের বয়স ছয় মাস চলছে । একই গ্রামের দৈনিক করোতোয়ার জেলা প্রতিনিধি মোক্তার হোসেনের ছোট একটি টার্কি খামার রয়েছে ।এতে বেশ কিছু টার্কি মুরগি রয়েছে ।অপর দিকে তেলিহাটির গোদারচালা গ্রামে আতাউর রহমানের ছেলে প্রকেীশলি মোঃমতিউর রহমানের ছোট একটি টার্কি খামার রয়েছে ।এতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টি টার্কি রয়েছে ।তিনি আশা করছেন অল্প সময়ের মধ্যে টার্কি গুলো ডিম প্রদানের উপযোগী হয়ে উঠবে । এ দিকে মাওনা উত্তর পাড়া এলাকার মাহমুদুল হাসান সবুজ একজন সফল টার্কি খামারি ।প্রায় অর্ধ-বিঘা জমির উপরে টার্কি খামার গড়ে তুলেন । তার খামারে প্রায় অর্ধ-শত টার্কি মুরগি রয়েছে । প্রতিদিন ভোর সকালে টার্কিগুলোকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় চারদিক বেষ্টনি ঘেরা ফুল ও ফলের বাগানে ।টার্কিগুলো মনের আনন্দে চারদিকে ঘুরে ঘুরে খাবার সংগ্রহ করে । টার্কি খামারি মতিউর রহমান ও সবুজ গত বছর থেকে টার্কি পালন শুরু করেন ।শতেকখানি টার্কির বাচ্চা নিয়ে প্রথম দিকে টার্কি পালন শুরু করেন ।৬ মাসের মধ্যে সেগুলোর ওজন হয় ৫ থেকে ৮ কেজি ।সেই সাথে ডিম দেওয়া শুরু করে ।বর্তমানে এ সকল টার্কি খামারে বাচ্চাসহ টার্কি রয়েছে প্রায় হাজার খানেক ।এতে বহু বেকার যুবকদের কাজের সুযোগ হয়েছে । শ্রীপুরের টার্কি খামারিরা আশা করছেন টার্কি পালনে প্রশিক্ষণ সহ সবধরনের সুবিধা পেলে টার্কি চাষে আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে ।সঠিক সময়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবস্থা করা গেলে বেকারত্ব নিরশনের পাশাপাশি স্থানিয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা যাবে ।
শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল জলিল জানান,টার্কি পালনে প্রশিক্ষণসহ সকল ধরনের সুবিধা প্রদান করা হবে