সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলা-দেশের আজ কঠিন পরীক্ষা। কঠিন এজন্যই যে আজ সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান খেলবে তাদের নিজেদের মাঠে। থিম্পুর চালিমিথান স্টেডিয়ামের মাঠে খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। ভুটান গত বছর প্রথম সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবলে হেরেছিল বাংলাদেশের কাছে। ৩-০ গোলের সেই হার এখনও ভুলে যায়নি ভুটান। আজ তারা বাংলাদেশকে নিজেদের ঘরের মাঠে পেতে যাচ্ছে। ঘরের মাঠের সব সুবিধা তুলে নিতেই মাঠে নামবে ভুটান।
বাংলাদেশের তহুরা, মনিকা, মারিয়া মান্ডা, সাজেদা, নাজমারা যে কোনো প্রতিকুল পরিবেশে লড়াই করতে প্রস্তুত। তারা জানে ভুটানের এই মাঠেই বাংলাদেশের ছেলেরা ভুটানের কাছে হেরেছিল। যেটা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। সে সব কথা মাথায় নিতে চান না তারা। নিজেদের নিয়ে থাকতে চান। ভুটান তাদের একাডেমিতে মেয়েদের রেখে প্রস্তুত করিয়েছে। আগের চেয়ে ভুটানের মেয়েরা মাঠের লড়াইয়ে অনেক বেশি গতিশীল। পারফরম্যান্সও ভালো।
মেয়েদের জন্য বাংলাদেশে কোনো একাডেমি না থাকলেও মেয়েরা এক সঙ্গে কয়েক মাস অনুশীলন করে আসছে। ভুটান যাওয়ার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে ক্যাম্পে থাকা নিজেদের মধ্যে দলের বিপক্ষে। সাফের দ্বিতীয় আসরে বাংলাদেশ ১৪-০ গোলে পাকিস্তানকে, দ্বিতীয় খেলায় ৩-০ গোলে নেপালকে হারিয়ে বি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে ওঠে। ‘এ’ গ্রুপে ভুটান ৬-০ গোলে শ্রীলঙ্কাকে হারালেও দ্বিতীয় খেলায় ভারতের কাছে ১-০ গোলে হারে। শ্রীলঙ্কা গ্রুপের দুই খেলায় হেরে যাওয়ায় বিদায় নেয়। ভুটান গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছায়। ভুটানের সোনম লামহো হ্যাটট্রিক করেছিল। বাংলাদেশের ছোট সামসুন নাহারও হ্যাটট্রিক করে। দুই দলে আক্রমণে তেজ থাকলেও বাংলাদেশের শক্তিটা বেশি। গোলপোস্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেক পজিশনে বাংলাদেশের মেয়েদের সমান শক্তি আছে। অনেক দিন ধরে এই খেলোয়াড়রা টানা অনুশীলনে রয়েছে। ক্লান্তি বাঁধা না হলে ভুটানকে হারাবে এমনটা মনে করছেন ফুটবল দলের সংশ্লিষ্টরা।
গত সাফে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন, ভারত রানার্সআপ, নেপাল তৃতীয় এবং ভুটান চতুর্থ হয়। আজ বাংলাদেশ ভুটান সেমিফাইনালের আগে একই মাঠে ভারত ও নেপাল প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে।