কোন পরিস্থিতিতে প্রগাঢ় ঘুম আসে, কখনই বা ঘুম বার বার ভেঙে গিয়ে আমরা বিপন্ন বোধ করি, কোন ঘুম দুঃস্বপ্ন দেখায় আর কোন ঘুমেই বা স্বপ্ন সুখের- এসবের কোনও পূর্বনির্ধারণ সম্ভব নয়।
আধুনিক মনোবিজ্ঞান আজও কোনও নিশ্চিত নিয়ম বা সূত্র আবিস্কার করতে পারেনি ঘুমের। কিন্তু বিশ্বের প্রাচীন শাস্ত্রগুলি ঘুম নিয়ে বিস্তর কথাবার্তা বলে, যার সে অর্থে কোনও ‘বৈজ্ঞানিক’ ভিত্তি নেই। কিন্তু একথা অনেকেই মনে করেন যে, এই সব প্রাচীন জ্ঞানের গভীরে এমন কিছু রয়েছে, যাকে আমরা আজ আর চিনতে পারি না, কেবল ‘সংস্কার’ বলে উল্লেখ করে পাশ কাটিয়ে যাই। ভারতীয় সনাতন ধর্মে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে শয়নের।
সনাতন ধর্ম অনুসারে, শয়নের সঙ্গে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণে যে কোনও দিকে মাথা রেখে শোওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে, উত্তর-দক্ষিণ দিকে মাথা করে শয়ন করা একেবারেই অনুচিত। এই দিকনির্দেশে মৃতদেহ রাখা হয়। এই দিকনির্দেশে শয়ন করলে দুঃস্বপ্ন অনিবার্য। মনে করা হয়, উত্তরমুখী শয়নেই আত্মা শরীর থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়। দক্ষিণ দিকটিকে মৃত্যুর অধিপতি যমের দিক বলে মনে করা হয়। সেই কারণে এই দিকে মাথা রেখে শুলে বিবিধ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে জানায় সনাতন ধর্ম।
সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, পূর্ব-পশ্চিম হল শয়নের জন্য সর্বোত্কৃষ্ট দিকনির্দেশ। এই নির্দেশে দেহস্থিত সপ্তচক্র সঠিক মাত্রায় সক্রিয় থাকে। এই নির্দেশে শয়ন করলে রজোগুণ বিবর্ধিত হয়, যার ফলে ক্লেশ দূর হয়, মনে শান্তি আসে।