॥ এম. এ. ফরিদ ॥
সারাটি জীবন নৌকা আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে এখন জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবির বাচ্চারা জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ, স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের পতাকাতলে আশ্রয় নিয়েছেন। যে ব্যাক্তিটি সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষ কথাটি সংযোজন করেছেন তিনিই কিনা মৌলবাদী কোন সংগঠনের ব্যানারে এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ক্ষমতার লোভ মানুষকে কতটা নীচে নামিয়ে দেয় তার বড় প্রমান হচ্ছে ড. কামাল হোসেন ও মান্নাদের মতো চাটুকাররা। যাদের দেখলেই বোঝা যাবে ক্ষমতার লোভ তাদের কতটা উম্মাদ করে দিয়েছে। শুধু মাত্র নির্বাচনে জয়ী হতেই এই দুই ক্ষমতালোভী ব্যক্তি ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত ঢাউস মার্কা এ সব নেতারা এভাবে নিজেদের নীতি আদর্শ জলাঞ্জলী দিবে তা নিশ্চয় অনেকেরই মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে তৎকালীন মেজর জিয়া পরবর্তীতে স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি হয়ে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করার মাধ্যমে প্রথম রাজাকারদের পুর্নবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আরো তিন ধাপ এগিয়ে রাজাকারদের মন্ত্রীত্ব দিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে বেগম জিয়া ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছিলেন। সম্ভ্রম হারানো ২লাখ মা বোনের ইজ্জতের সঙ্গে তিনি তামাশা করেছিলেন। সে সময়ে রাজাকারদের অট্ট হাসিতে বাংলার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে উঠত। মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। যে মুহুর্তে বাঙালী জাতি কিংকর্র্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়েছিল ঠিক সে মুহুর্তে সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিপুল ভোটে নির্বাচনে জয়ী হয়ে এদেশের মানুষকে হতাশার সাগরে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে দেশ এখন একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যে মুহুর্তে দেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে যাচ্ছে ঠিক সেই মুহুর্তে জাতির পুরনো শকুনেরা আমাদের অর্জিত স্বাধীনতাকে খামছে ধরে ছিন্ন ভিন্ন করবার অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এদের সহযোগীতা করছে তথাকথিত সুশীল সমাজের দুষ্টু ছেলেরা। যারা রাতে মানুষের ঘুম হারাম করে টকশোর নামে বাচালে ভুমিকায় নিজেদের সর্বদা ব্যস্ত রাখেন। ক্ষমতার লোভে বিভোর ওই সকল তথাকথিত প্রগতিশীল ব্যক্তিরা আজ জোট বেধেছে স্বাধীনতা বিরোধীচক্রের সঙ্গে। কি বলে নিন্দা জানাবো ভাষা খুজে পাচ্ছি না। ডিকশেনারী ফাকা। ভৎসনা করা ছাড়া আর কোনো গত্যান্তর দেখছি না। তাইতো বলতে হয় এ লজ্জার শেষ কোথায় ?