দশ শর্তে দু’পক্ষ বিশ^ ইজতেমা অনুষ্ঠানে সম্মতি
টঙ্গী : অবশেষে নানান প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিশ^ ইজতেমার প্রস্তুতি কাজ শুরু। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের প্যান্ডেল তৈরির কাজসহ মাঠ প্রস্তুতির সার্বিক বিষয় নিয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ইজতেমার পরিচালনা কমিটির সা’দ ও জোবায়ের পন্থী শীর্ষ মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন। দুই পক্ষকে নিয়ে দুই ঘন্টাব্যাপী আলোচনা শেষে মন্ত্রী প্রস্তুতি কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এড. জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ কমিশনার ওয়াইএম বেলালুর রহমান ও ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বীরাসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। ১০ শর্তে দু’পক্ষ বিশ^ ইজতেমা অনুষ্ঠানে সম্মতি জানান। উদ্বোধন শেষে বিশ^ ইজতেমা অনুষ্ঠানের সার্বিক বিষয় নিয়ে দুই ঘন্টাব্যাপী ১০টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনার বিষয়গুলো হচ্ছে- ১। আগামী ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারী মাওলানা জোবায়ের অনুসারীগণ ইজতেমা শুরু করে ১৬ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের পূর্বে আখেরী
মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ করে চলে যাবে। ২। মাওলানা সা’দ অনুসারীগণ ১৭ ফেব্রুয়ারী ফজরের নামাজের পরে ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করবে এবং ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু
করবেন। ১৮ ফেব্রুয়ারী ওয়াসিফুল ইসলাম অনুসারীগণ ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করে তাদের দুইদিনের ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ৩। মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা গতকাল বুধবার থেকে ইজতেমা মাঠ প্রস্তুতি কাজ শুরু করেছেন। ৪। মাওলানা জোবায়ের পন্থীগণ ১৬ ফেব্রুয়ারী বাদ মাগরিব আখেরী মোনাজাত শেষ করে মাঠ ছেড়ে চলে যাবেন। ৫। জোবায়ের পন্থীলোকজন প্রশাসনের উপস্থিতিতে সা’দ পন্থীদের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দিবেন। ৬। দুই পক্ষের ইজতেমা শেষে ইজতেমা মাঠের সরঞ্জামাদী বিষয় দুই পক্ষের মুরুব্বীরা বসে সিদ্ধান্ত নিবেন। ৭। ইজতেমা শেষে ময়দানে মুসল্লীদের ব্যক্তিগত মালছামানা ছাড়া বাকি সকল মালামাল স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবে। ৮। মাওলানা জোবায়ের অনুসারী বিদেশী মেহমানরা দুইদিন ইজতেমা শেষে উত্তরা হাজী ক্যাম্পে অবস্থান করবেন। ৯। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাওলানা সা’দ সাহেব বিশ^ ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন না। ১০। ইজতেমা চলাকালীন উভয় পক্ষের তাবলীগ অনুসারী মুসল্লীরা টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকার মসজিদে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন।