ইউরোপ থেকে মন্ত্রীর কাছে সিলেটের দুই মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকাভূক্ত করার দাবি
আফরোজ খানঃ ইতালিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে এমএজি ওসমানীর গাড়ি চালকসহ দুইজনকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সিলেটের তাইজুল ফয়েজ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ‘জয়যাত্রা’ টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান প্রবাস টাইম হেলেনা জাহাঙ্গীরের উপস্থাপনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এতে প্রবাসী সাংবাদিক হিসেবে অংশ নেন ইউরো বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান, বঙ্গবীর ওসমানী স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত তাইজুল ইসলাম ফয়েজ।
তাইজুল ইসলাম ফয়েজ তার বক্তব্যে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমি বালাগঞ্জ, ওসমানীনগরের সন্তান। উক্ত উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছিল কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দুইজন মুক্তিযোদ্ধাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই। একজন হচ্ছেন শেখ আব্দুর রহমান বদরী। যার একজন সাক্ষী হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আজিজুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ আলী। অপরজন হচ্ছেন বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানী সাহেবের গাড়ি চালক খলিলুর রহমান।
মন্ত্রী তাজুল ফয়েজের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আপনি প্রবাসে থেকেও আমাকে লিখিত দেন অবশ্যই তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তাইজুল ফয়েজ আরো মন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বালাগঞ্জ উপজেলার আদিত্যপুর গ্রামে গণহত্যা হয়েছিল, ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর এলাকায় গণহত্যা হয়েছিল কিন্তু গণহত্যা দিবস পালিত হলেও শহীদ পরিবারদেরযথার্থ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।
তার উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে যথার্থ প্রমাণ সহকারে উপস্থাপন করলে আমি আপনাকে আশ্বস্থ করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তাইজুল ফয়েজ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করলে ওসমানীর নামকরণে ওসমানীনগর থানা স্থাপন করা হয়। বর্তমানে ওসমানীনগর উপজেলা বাস্তবায়ন হয়েছে এখন প্রয়োজন ওসমানীনগর পৌরসভা।
তাইজুল ফয়েজের বক্তব্য সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশ এবং মন্ত্রী মহোদয়ের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের কথা শুনে অনেকে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সিলেট, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগরের মানুষ তাইজুল ফয়েজকে নিয়ে প্রশংসনীয় আলোচনা করছেন।