সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড। লর্ডসে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ রান। জবাবে নিউজিল্যান্ড করেছে ১৫ রান। আবার ম্যাচটি টাই হয়। কিন্তু বাউন্ডারি ব্যবধানে ইংল্যান্ড জিতে যায় ম্যাচটি।
ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল ২৪২ রান। একশ করার আগেই তারা ৪ উইকেট হারানোর পর ম্যাচে উত্তেজনা ফেরায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু জস বাটলার ও বেন স্টোকসের ব্যাটে আবার ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। এরপর শেষ দিকে ম্যাচ জমে ওঠে লকি ফার্গুসন ও জিমি নিশামের জোড়া আঘাতে। নাটকীয় শেষ ওভারে শ্বাসরুদ্ধকর পারফরম্যান্সে স্টোকস ম্যাচে ফেরান সমতা।
১৯৭৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়া আর ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের কাছে ফাইনালের ব্যর্থতা ভুলিয়ে দিলো ইংল্যান্ড। মাইক ব্রিয়ারলি, মাইক গ্যাটিং ও গ্রাহাম গুচদের আক্ষেপ ঘুচালেন এউইন মরগান। গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বিদায় নেওয়ার পর থেকে যে উত্থান, তারই পুরস্কার তারা পেলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে। দলকে শীর্ষ র্যাংকিংয়ে নেওয়া অধিনায়কের হাতেই উঠলো বিশ্বকাপ ট্রফি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪১/৮ (গাপটিল ১৯, নিকোলস ৫৫, উইলিয়ামসন ৩০, টেইলর ১৫, ল্যাথাম ৪৭, নিশাম ১৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ১৬, স্যান্টনার ৫*, হেনরি ৪, বোল্ট ১*; ওকস ৯-০-৩৭-৩, আর্চার ১০-০-৪২-১, প্লাঙ্কেট ১০-০-৪২-৩, উড ১০-১-৪৯-১, রশিদ ৮-০-৩৯-০, স্টোকস ৩-০-২০-০)।
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪১ (রয় ১৭, বেয়ারস্টো ৩৬, রুট ৭, মর্গ্যান ৯, স্টোকস ৮৪*, বাটলার ৫৯, ওকস ২, প্লাঙ্কেট , আর্চার ০, রশিদ ০, উড ০; বোল্ট ১০-০-৬৭-০, হেনরি ১০-২-৪০-১, ডি গ্র্যান্ডহোম ১০-২-২৫-১, ফার্গুসন ১০-০-৫০-৩, নিশাম ৭-০-৪৩-৩, স্যান্টনার ৩-০-১১-০)।
ফল: ম্যাচ ও সুপার ওভার টাই; বাউন্ডারিতে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
ম্যান অব দা ম্যাচ: বেন স্টোকস
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: কেন উইলিয়ামসন