জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতিদিন প্রকারভেদে মণ প্রতি গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে পেঁয়াজের দাম। ক্রমাগত দাম বৃদ্ধিতে তা ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে করে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তারা। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো। বর্তমানে পাইকারি প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা আর খুচরা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। জেলা শহরের নতুন হাটখোলা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নাসির উদ্দিন জানান, পেঁয়াজের দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সিন্ডিকেট করে বিক্রেতারা দাম বাড়াচ্ছে। সরকার বলছে দাম কমাব কিন্তু কিছুই তো করছে না। যত দুর্ভোগ আমাদের সাধারণ মানুষের। একই অভিযোগ অন্যান্য ক্রেতাদের। তারা বলেন, পাইকারি তো এক দাম আছেই, আবার খুচরা বিক্রেতারা আরও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এ যেন রামরাজত্ব, যে যার ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রেতা সোহাগ কুন্ডু জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসছে না। আর চাষিরা বাজারে পেঁয়াজ কম আনছে। ফলে চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় দাম বাড়ছে। নতুন পেঁয়াজ কিংবা এলসি পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। জেলা বিপণন কর্মকর্তা গোলাম মারুফ খান জানান, মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজবাহী বেশ কয়েকটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। কয়েক দিনের ভেতরেই তা খালাস হবে। অন্যদিকে এলসির ওপর ভারত যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা তুলে নিয়েছে। ফলে ২-৩ তারিখের মধ্যে ব্যবসায়ীরা এলসিপত্র খুলবে। ফলে হিলি, বেনাপোলসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ বাংলাদেশে পৌঁছাবে। তাই আশা করা যাচ্ছে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, কিছু আগাম জাতের পেঁয়াজও কয়েকদিনের ভেতরেই বাজারে আসবে যা দাম কমাতে ভূমিকা রাখবে।