বিশ্ব ইজতেমার সকল প্রস্তুতি কাজ প্রায় সম্পন্ন
মৃণাল চৌধুরী সৈকত, টঙ্গী : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে টঙ্গী ইজতেমা মাঠের ১ নং প্রবেশ পথ প্রাঙ্গনে বিশ্ব ইজতিমার ফলোআপ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো.আসাদুজ্ঝামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে ও গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো.জাহিদ আহসান রাসেল এম.পি, জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, মহা-পুলিশ পরিদর্শক ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাবের মহা পরিচালক মো. বেনজির আহমেদ, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন বিপিএম-পিপিএম বার, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মেজবাহ উদ্দিন, মাওলানা মো. মহিবুল্লাহ ও বিশ্বইজতেমা কাজে নিয়োজিত প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উক্ত সভায় প্রশাসন, এলজিইডি, বিআরটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, রেল কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথসহ সরকারের সকল বিভাগের পক্ষ থেকে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রি মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্যই বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আমরা নি:স্বার্থভাবে কাজ করে থাকি। ইজতেমা ময়দানে নিয়োজিত বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরাও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে থাকেন।
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, বিশ্ব-ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। আর যে সমস্ত কাজ বাকী রয়েছে তা হলো ঢাকা বিভাগের মুসল্লিদের খিত্তার কাজ। সে সব কাজ সংশ্লিষ্ট খিত্তার মুসল্লিরাই করে থাকেন এবং আগামী ৮ তারিখের মধ্যে ইজতেমার প্রস্তুতির সকল কাজ সম্পন্ন হবে।
ইজতেমায় আইনশৃংখলা রক্ষার ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে ৮ হাজার পুলিশ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইজতেমা ময়দানের প্রতিটি গেটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ইজতেমা ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারপাশে স্থাপিত র্যাবের ১০টি ও পুলিশের ১৪টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের ব্যাপারে গাজীপুর সিভিল সার্জন বলেন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার সরকারি হাসপাতালে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়াও অ্যাজমা ইউনিট, বার্ন ইউনিট, হার্ট ইউনিট টঙ্গী হাসপাতালে চালু থাকবে। তিনি আরো বলেন, ইজতেমা মাঠে প্রবেশ রাস্তাগুলোতে একটি করে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। প্রতিটি ক্যাম্পে ২ জন করে ডাক্তার ৩টি শিফটে ২৪ঘন্টা মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবাদানে নিয়োজিত থাকবে এবং পর্যাপ্ত ঔষধ এর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও ১৪টি এ্যাম্বুলেন্স ২৪ঘন্টা মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবে।