ঝিনাইদহের অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই
ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ জেলায় অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই। এ কারণে চিত্তবিনোদন ও শরীর গঠনের সুযোগ পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, শিশুশিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার প্রতিযোগিতায়। স¤প্রতি অনুষ্ঠিত আন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় শীতকালীন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ও এর প্রভাব পড়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টসহ যে কোনো শারীরিক প্রতিযোগিতামুলক খেলায়ও দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের হতাশাজনক পারফরমেন্স। ঝিনাইদহ প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার ছয় উপজেলায় ৯০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্যও পর্যাপ্ত পথ নেই। এতে নিয়মিত অনুশীলন করতে না পারায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে প্রতিযোগিতায় মূলক বিভিন্ন খেলাধুলা থেকে। ব্যাহত হচ্ছে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ। ঝিনাইদহ শহরের আদর্শ পাঠশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী সাদিয়া আফরিন বলে, ‘মাঠ না থাকায় স্যাররা খেলা করায় না। আমরাও খেলতে পারি না। খুব মন খারাপ হয়। যেমন কালীগঞ্জের বোর্ড স্কুল, শিবনগর মডেল স্কুল, বলিদাপাড়া স্কুলসহ অনেক স্কুল এমন ভাবে খেলার মাঠ নেই। ‘মাঠ নেই, খুব ছোট জায়গা। ছেলে মেয়েদের ইচ্ছা থাকলেও খেলা করাতে পারি না,’ বলছিলেন মিনা সাহা নামে এক শিক্ষক। জেলার শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফা খানম বলেন, ছেলে-মেয়েদের সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার বিকল্প নেই। কিন্তু মাঠ না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই সেটা সম্ভব হয় না। সরকার যদি বিশেষ বিবেচনায় যে বিদ্যালয় গুলোতে খেলার মাঠ নেই সেখানে মাঠের ব্যবস্থা করে তাহলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শারীরিক বিকাশের সুযোগ পাবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম শিশু শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, ‘ইচ্ছা থাকলেও এই মুহূর্তে খেলার মাঠ বা মাঠের জন্য জায়গা বাড়ানো সম্ভব না। বর্তমানে জমির দাতা যেমন দুর্লভ, তেমনি সরকারেরও এই মুহূর্তে স্কুলের জন্য জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে চেষ্টা করছি ইনডোর গেমস বা পাশের স্কুলে নিয়ে খেলার অভাব পূরণ করতে।