News Bangla 24 BD | ৯ ডিজিটের সুদহার নির্ধারণ কেন বেআইনি নয়: হাইকোর্ট
News Head

৯ ডিজিটের সুদহার নির্ধারণ কেন বেআইনি নয়: হাইকোর্ট


ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাইরে রেখে ব্যাংক ঋণের সুদহার নয় শতাংশ নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

আদেশের পর রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ করায় এর সুবিধা পাচ্ছেন ২ লাখ ব্যবসায়ী। এদেরকে সুবিধা দিতে গিয়ে আমানতকারীদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে। এই আমানতকারীদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২ কোটি মানুষ জড়িত। কারণ আমানতকারীদের সুদহার ৬ শতাংশের কথা বলা হচ্ছে। বিভিন্ন খরচ বাদ দিয়ে সেটা হয়ত ৪ বা ৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কি সিদ্ধান্ত সেটা জানা দরকার। কারণ ব্যাংকের অর্থ লুটপাট হলে শেষ পর্যন্ত আমানতকারীরাই ক্ষতিগ্রস্থ হোন। আদালত আমাদের বক্তব্য গ্রহণ করে রুল জারি করেছে। রুলের শুনানিতে আদালত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্য শুনবেন।

তিনি বলেন, সুদহার নির্ধারণ করে যে সার্কুলার জারি করা হয়েছে তাতে শুধু ব্যাংকিং খাতকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এর বাইরে রয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে ঋণের সুদহার নির্ধারণ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। যা সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের পহেলা এপ্রিল থেকে নির্ধারিত ৯ শতাংশ সুদ হারে ঋণ বিতরণ শুরু হবে। ওই সার্কুলাররের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মাহফুজুর রহমান নামের আইনের একজন শিক্ষার্থী রবিবার হাইকোর্টে এ রিট করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ