গাজীপুরে বশেমুরকৃবিতে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন
স্বাধীন বাংলাদেশে স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার গাজীপুরের সালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা, ডিজিটাল ডিসপ্লেতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বিশেষ দোয়া মাহফিল, প্রধান ফটক ও ভবনসমূহে আলোক-সজ্জ্বা, আতশবাজী প্রদর্শন ইত্যাদি। সকাল ১০:০০টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া বলেন, আজ ১৭ মার্চ স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, একটি ঐতিহাসিক ও অর্থবহ দিন। জাতির পিতাসহ সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষ পালিত হবে। জাতির পিতার আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জাতি-ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করে যেতে হবে। জাতির পিতার শুভজন্মদিনে এটিই হোক আমাদের অঙ্গীকার। আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার, প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ, পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ), প্রফেসর ড. মোঃ খোরশেদ আলম ভূঁঞা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি, প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম।
আলোচনা শেষে ডিজিটাল ডিসপ্লে এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু’র কর্মময় সংগ্রামী জীবনের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বঙ্গবন্ধু’র রুহের মাগফেরাত, দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮-০০টায় বঙ্গবন্ধু’র শুভ জন্মক্ষণে আতশবাজী প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গবন্ধু’র শততম জন্মদিনের অনুষ্ঠানমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।