করোনায় নিজে আক্রান্ত না হলেও অন্যকে সংক্রমিত করছে
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভুয়া সংবাদে বলা হয়েছে, লবণ বা ভিনিগার মিশ্রিত পানি বা গরম পানি পান করলে কিংবা গলা ভেজালে অথবা রসুন মুখে রাখলে করোনা গলা থেকে ফুসফুসে যায় না। আবার বলা হচ্ছে লেবুতে নাকি করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ভুয়া তথ্য এখনও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই তথ্যের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
করোনা ঠেকাতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে এই ভাইরাস নিয়ে আমরা সঠিক তথ্য অনেকে জানি না।
রোগের লক্ষণ নিয়ে ধোঁয়াশা
জ্বর দিয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। এর পর শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। প্রায় এক সপ্তাহ পর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। আর সঙ্গে গলাব্যথা, মাথাব্যথা ও ডায়রিয়া হতে পারে।
এমন উপসর্গ দেখে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। তবে অনেকের মধ্যে হালকা ঠাণ্ডা সমস্যা, সর্দি, নাক দিয়ে পানি পড়া ও হাঁচি দেয়ার সমস্যা হতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, যদি এমন রোগী থাকে, তা হলে একটি সম্ভাবনা থাকে; এদের মধ্যে হয়তো কেউ এই ভাইরাসটি বহন করছেন। তবে এই রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডি থাকায় হয়তো ওই ব্যক্তি নিজে আক্রান্ত না হলেও অন্যকে সংক্রমিত করছেন।
শিশুরা কি আক্রান্ত হয়?
শিশুরাও করোনভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। শিশুদের মধ্যেও এই লক্ষণ হালকা দেখা দিতে পারে। অন্যান্য বয়সের তুলনায় শিশুদের এই রোগে তুলনামূলকভাবে মৃত্যুর হার কম।
অনেকের ক্ষেত্রে করোনা মারাত্মক হতে পারে
করোনা বেশিরভাগের জন্য একটি হালকা সংক্রমণ। তবে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের কাছে ভাইরাসটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে এবং জিনগত কোনো পরিবর্তনের ফলে ভাইরাসটি অনেকসময় মারাত্মক হয়ে যায়।
সংক্রমণ বুঝতে কতদিন সময় লাগে
বিজ্ঞানীর খুঁজে চলেছেন কত জনের মৃদু উপসর্গ হয় বা একেবারেই হয় না, অথচ তারা রোগ ছড়াতে পারেন। এক হিসাবে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ মানুষ সংক্রমণ ছড়াতে পারেন। সংক্রমণ হওয়ার পর উপসর্গ দেখা দিতে মোটামুটি ২-১৪ দিন সময় লাগে। একে বলা হয় ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড।
আর একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, গড়ে পাঁচ দিনের মধ্যেই উপসর্গ প্রকাশ পায়।