কাপাসিয়া-ঢাকা রোডে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া বাস্তবায়নের দাবি
কাপাসিয়া প্রতিনিধি : করোনার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান অনার্স, মাস্টার্স পরিক্ষা শুরু হয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের হাফ ভাড়া না নেওয়ায় বিপাকে দ্ররিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা। কাপাসিয়া – ঢাকা রোডে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া বাস্তবায়ন চাই অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। কতৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েও সমাধান পাচ্ছে না। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য হাফ ভাড়া সরকার অনেক আগে করে রেখেছে কিন্তু ঢাকা কিশোরঞ্জ রোডে টোক, কাপাসিয়া থেকে গাজীপুর বা ঢাকা যেতে অনন্যা পরিবহন, জলসিড়ি পরিবহন, অনন্যা ক্লাসিক পরিবহনের বাসগুলো সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মানছেন না। হাফ ভাড়া নেই কিন্তু সিটিং সার্ভিসের কথা বলে দাঁড়িয়ে আসতে হয় তাও আবার পুরো ভাড়া দিয়ে। সম্প্রতি নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছিল। তখন তারা নয় দফা দাবি তোলে। এর মধ্যে একটি দাবি ছিলও ‘প্রতিটি বাসে স্টুডেন্টদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’ আন্দোলন স্থগিত হলেও এখনও গণপরিবহনগুলোতে হাফ ভাড়া নেয়া হয় না। টোক , বীর উজলী থেকে গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ, সরকারী আজিম উদ্দিন কলেজ, টঙ্গী সরকারী কলেজে ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করে থাকে। করোনার আগে ভাড়া ছিল ৩০ টাকা। ছাত্রদের কাছ থেকে কাউন্টার মাস্টার নিত ৪০ থেকে ৫০ টাকা টিকেট মূল্যের অতিরিক্ত টাকা মালিক পক্ষ পেত না। কেউ ৩০ টাকা দিলে তাকে টিকেট দেওয়া হত না। ভাওয়াল কলেজের অনার্স পরিক্ষার্থী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, করোনার পর আমাদের ফাইনাল পরিক্ষা শুরু হয়েছে। আমাদের বাসে আসা যাওয়া করতে হয়। বাস মাকিলগন টিকেট দিতে পারে না। কাউন্টারে বললেও ওরা ভাড়া কম নিচ্ছে না। অনন্যা ক্লাসিক পরিবহনের পরিচালক বাবুল খান জানান, করোনার পরে স্কুল কলেজ খোলা হলে টিকেটরে ব্যবস্থা করবো। এখন অনার্স পরিক্ষা চলছে আমরা জানতাম না। আমরা কাউন্টারে বলে দিব যাতে হাফ ভাড়া নেওয়া হয়। এই রোডে আরো চারটি পরিবহন চলে ওদের সাথে কথা বলেন যেন তারাও হাফ ভাড়া নেয়।