‘বিইউ খাটো শিম ৮’ ও ‘বিইউ খাটো শিম ৯’ নামের শিমের দুইটি খাটো জাত উদ্ভাবন করেছেন গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ও পরিচালক (গবেষণা) প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল ইসলাম। সম্প্রতি তিনি এ জাত দুটি উদ্ভাবন করেন।
তার উদ্ভাবিত ‘বিইউ খাটো শিম ৮’ ও ‘বিইউ খাটো শিম ৯’ জাত দুটি কোনো প্রকার সাপোর্ট খুঁটি এবং মাচাবিহীনভাবে মাঠ ফসলের মতো চাষ করা যাবে, যা দেশে শিম চাষে এক যুগান্তকারী গতিশীলতা আনয়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া জাত দুটি ছাদ বাগানে টবে চাষ করার উপযোগী।
খাটো জাতের শিম সাধারণত জংলি প্রকৃতির হওয়ায় এবং শিমে গন্ধ থাকায় এগুলো খাবার অনুপযোগী হয়। তবে প্রফেসর আমিনুল ইসলাম খাটো জাতের মধ্যে দেশি শিমের গুণাগুণ আনার জন্য আট বছর গবেষণা করে সফল হয়েছেন। একটি খাটো জাতের সঙ্গে দেশীয় জাতের সংকরায়ন পরবর্তী পিউর লাইন নির্বাচনের মাধ্যমে এ জাতগুলো উদ্ভাবন করেছেন তিনি।
‘বিইউ খাটো শিম ৮’ একটি বিদেশি খাটো জাতের সঙ্গে দেশীয় জাতের সংকরায়ন পরবর্তী পিউর লাইন নির্বাচনের মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি একটি আলোকসংবেদনশীল ও আগাম জাত। আগাম জাত হিসেবে আগস্ট মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসে এর বীজ বপন শুরু করা যায়। এই জাতটি সারা বাংলাদেশে চাষ উপযোগী।
‘বিইউ খাটো শিম ৯’ জাতও একটি বিদেশি খাট জাতের সঙ্গে দেশীয় জাতের সংকরায়ন পরবর্তী পিউর লাইন নির্বাচনের মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। এই জাতটিও সারা বাংলাদেশে চাষ উপযোগী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত শিমের এই জাতগুলো খাটো হওয়ায় মাচা বা খুঁটি ছাড়াই মাঠ ফসলের মতো চাষ করা যাবে বিধায় উৎপাদন খরচ কম হবে। কৃষকরা জাতগুলো চাষ করে অধিক লাভবান হবেন। শিমের জাতগুলো খাটো হওয়ায় টবেও চাষ উপযোগী। ফলে নগর বা ছাদকৃষিতেও অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে।