দেখতে দেখতে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করতে চলেছি। আবার এই ৫০ বছর একটি দেশের জন্য সময়ও কম নয়। অনেক কিছু আমরা পাইনি, আবার অনেক পেয়েছি। কিন্তু বাঙালি জাতির ওপর বীভৎস হামলা, অতঃপর মাতৃভূমির মুক্তির সেই স্মৃতি ও ইতিহাস আমাদের এখনো জ্বলজ্যান্ত।
সেই অনাচার, সেই বৈষম্য, আজো আমাদের স্মৃতিতে জেগে আছে। সে কথাই আজ ৫০ বছরপূর্তিতে ইত্তেফাকের বিশেষ ক্রোড়পত্রের জন্য লিখতে বসেছি; তাগিদ অনুভব করছি। পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে বৈষম্যের মাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। বৈষম্য অবসানের নিমিত্তে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, লাহোরে অনুষ্ঠিত আরটিসি সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।
প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ছয় দফা দাবির সমর্থনে ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে সমগ্র দেশ আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে। ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের ফলে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয়।
জননেতা শেখ মুজিবুর রহমান, লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, আহমেদ ফজলুর রহমান সিএসপি, রুহুল কুদ্দুস সিএসপি, স্টুয়ার্ড মুজিবর রহমান, ক্যাপ্টেন শওকত আলী, ক্যাপ্টেন নুরুজ্জামানসহ ৩৪ জন রাজবন্দিকে সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সার্জেন্ট জহুরুল হক নিহত হন। ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান দ্বিতীয়বার সামরিক শাসন জারি করেন ও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। জেনারেল ইয়াহিয়া খান, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
ছয় দফা আন্দোলনই স্বাধীনতাযুদ্ধের মূল টার্নিং পয়েন্ট বলে বিবেচিত হয়।
পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম সর্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর, সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পাকিস্তান আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে ১৬২টি আসনের মধ্যে ১৬০টি+৭টি নারী আসন = ১৬৭টি আসন লাভ করে। পক্ষান্তরে পশ্চিম পাকিস্তানে ১৩৮ আসনের মধ্যে পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি মাত্র ৮১টি আসন পায়। উক্ত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৭ হাজার ১৬২ পপুলার ভোট (৩৯%) পায় এবং পিপি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৩ পপুলার ভোট (১৮%) পায়। আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির সভায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির লিডার ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ডেপুটি লিডার নির্বাচিত করা হয়। ১৭ ডিসেম্বর, পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে, আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮+১০টি নারী আসন মোট ২৯৮টি আসন পায়।
অর্থাত্ মোট আসনের ৯৬ শতাংশ আসন পায়, যা বিশ্বে ভূমিধ্বস বিজয় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। উল্লিখিত বিজয়ে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী এবং পিপি প্রধান জুলফিকার আলি ভুট্টো দিশেহারা হয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেন। প্রাদেশিক পার্লামেন্টারি সভায় এম মনসুর আলীকে পূর্ব পাকিস্তান পার্লামেন্টারি পার্টির লিডার নির্বাচিত করা হয়। ’৭০-এর নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী এবং এম মনসুর আলী, পূর্ব পাকিস্তানের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, দুপুর ১:১৫ মিনিটে রেডিও পাকিস্তানে ৩ মার্চ আহূত সংসদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। ঢাকা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান ও এমসিসি ক্রিকেট খেলা অকস্মাৎ বন্ধ হয়ে যায়। হাজার হাজার দর্শক-ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসে এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ আহূত ৩ মার্চ, পল্টনের মহাসমাবেশে, বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা হয়। উক্ত সভায় আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিব অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানান এবং জনগণের প্রতি খাজনা, টাক্স বন্ধ করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, পড়ন্ত বিকাল, প্রায় ১০ লাখ জনতার পদভারে রেসকোর্স ময়দান প্রকম্পিত হয়।
স্বাধীনতার আন্দোলনের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দৃপ্ত পায়ে মঞ্চে উঠলেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ কবিতা পাঠ করলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থা মূলত বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই পরিচালিত হয়। ঐতিহাসিক ভাষণের পর, ঢাকা তথা সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরিতে রূপান্তরিত হয়।
ঢাকায়, পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির লিডার ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চ, রাতের অন্ধকারে, গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন।
প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের নির্দেশে জেনারেল টিক্কা খানের তত্ত্বাবধানে, জেনারেল রাও ফরমান আলির নেতৃত্বে ২৫ মার্চ ঢাকায় অপারেশন সার্চ লাইট শুরু করা হয়। ঢাকায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর হেডকোয়ার্টারস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, তদানীন্তন ইকবাল হল, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির হলসমূহ, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার প্রধান লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হয়। একই সময়ে জেনারেল খাদিম হোসেন রাজার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম-কুমিল্লা-যশোর-রাজশাহী-ময়মনসিংহ-রংপুর-খুলনাসহ মোট ১০টি শহরে অপারেশন সার্চ লাইট শুরু করা হয়। হাজার হাজার নিরীহ, নিরস্ত্র বাঙালি ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী ও সংখ্যালঘুদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
তাদের হৃদয়বিদারক ক্রন্দন ও আহাজারিতে ঢাকা তথা সমগ্র দেশের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। যা ছিল বিশ্বের ইতিহাসে বর্বরোচিত গণহত্যা। ২৬ মার্চ ০০:২০ মিনিটে (প্রথম প্রহরে) পাকিস্তান পার্লামেন্টের মেজরিটি পার্টির লিডার, আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়্যারলেসের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
“ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছো, যাহার যাহা কিছু আছে, তাহাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো।
পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও (অনূদিত)’—
শেখ মুজিবুর রহমান।
যা আইএসপিআরের পাবলিক রিলেশনস অফিসার মেজর সালিক সিদ্দিকের ওয়্যারলেসে ঘোষণাটি শুনতে পাওয়া যায়। (সূত্র : উইটনেস অব স্যারেন্ডার। লেখক : সালিক সিদ্দিক)। রাত ১ :৩০ মিনিটে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের নিজ বাসভবন থেকে আওয়ামী লীগ প্রধান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
অতঃপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকা থেকে রাওয়ালপিন্ডির লয়ালপুর জেলে স্থানান্তর করা হয়। প্রখ্যাত সাংবাদিক সায়মন ড্রিংকসই প্রথম ২৫ মার্চের পরিকল্পিত গণহত্যার খবরটি ‘ওয়াশিংটন পোস্টের’ মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ববাসীকে অবহিত করেন এবং সমগ্র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন। পাকিস্তান সামরিক কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণে কয়েক জন বিদেশি সাংবাদিক ঢাকায় আসেন। অতঃপর প্রখ্যাত সাংবাদিক ম্যাসকারেনহাস ১৯৭১ সালের ১৩ জুন, ঢাকা থেকে লন্ডনে পালিয়ে যান। তিনি ঢাকাসহ সমগ্র দেশের বর্বরোচিত গণহত্যার ভয়াবহ চিত্র ‘সানডে টাইমস’-এ প্রকাশ করেন। উক্ত হৃদয়বিদারক রিপোর্টটি পাশ্চাত্য তথা সমগ্র বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেয় এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ‘সানডে টাইমস’-এর সম্পাদক হ্যারল্ড ইভ্যান্সকে বলেন যে, উক্ত রিপোর্টটি তাহার হৃদয়কে গভীরভাবে নাড়া দেয় এবং ফলশ্রুতি হিসেবে ‘ভারত সরকার সশস্ত্র হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন’।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল, শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয়। এম মনসুর আলীকে অর্থমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ১৭ এপ্রিল, মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের উপস্থিতিতে উল্লিখিত মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল, এক বিশেষ অধিবেশনে ১৯৭০ সালের নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের ১৬৯ সদস্য এবং প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত ২৯৮ সদস্যের সমন্বয়ে গণপরিষদ গঠন করা হয়।
উক্ত অধিবেশনে ২৬ মার্চ ০০.২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর ‘প্রকেন্ডমেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ (স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র) অনুমোদন করা হয়। যা অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে গণ্য করা হলো। উক্ত সংবিধান ৪০৪ জন গণপরিষদ সদস্য কতৃর্ক স্বাক্ষরিত হয়। যার মূলভিত্তি হচ্ছে সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার। গণপরিষদের হুইপ ইউসুফ আলী ১৭ এপ্রিল ‘প্রকেন্ডমেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ পাঠ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক আব্দুল মান্নান এমপি। মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার নামকরণ করা হয় ‘মুজিবনগর’। ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা ঘোষণার পর, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত জনপ্রতিরোধ শুরু হলেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য, যাচাইপূর্বক মুক্তিযোদ্ধা নিয়োগ ও সংগঠিতকরণ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়, উক্ত যুদ্ধে সহায়তাকারী বন্ধুপ্রতিম ভারত সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক রক্ষা এবং সমন্বয়ের ক্ষেত্রে উক্ত সরকারের ভূমিকা ছিল অনন্য।
উক্ত ‘মুজিব নগর সরকার’ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রথম গণতান্ত্রিক ও আইনানুগ সরকার। এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং এমএ রবকে চিফ অব আর্মি স্টাফ নিয়োগ দেওয়া হয়। সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয় এবং ১১ জন সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ দেওয়া হয়। উক্ত মুজিবনগর সরকারের মেয়াদকাল ছিল ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল থেকে ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের তাজা তপ্ত রক্তের বিনিময়ে এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভমের বিনিময়ে স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ নিয়াজির নেতৃত্বে, পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সৈন্য অস্ত্রসহ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল জগজিত্ সিং অরোরা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান এ কে খন্দকারের উপস্থিতে বিকাল ৪:৩১ মিনিটে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন। উক্ত আত্মসমর্পণের দৃশ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর দেখা যায় নাই। এ দলিলের শিরোনাম ‘ইন্সট্রুমেন্ট অব স্যারেন্ডার’। ইতিহাসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, ‘বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বিজয়’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
লেখক: প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক,
জাতীয় চার নেতা পরিষদ