দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে: বাহাউদ্দিন নাছিম
স্টার্ফ রিপোর্টর:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পরিষদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে আসায় দেশের জনগণ আলোর দিকে ফিরেছে এবং ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমরা আবার সুশৃঙ্খল অগ্রগতির জাতিতে পরিণত হয়েছি। আমাদের দেশ উন্নত হয়েছে। এগুলো সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণে। তার সেই আগমনের মধ্য দিয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষ আশা দেখেছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে যদি ফিরে না আসতেন তাহলে আমরা অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ফিরে আসতে পারতাম না। আমরা তখন অন্ধকারে হারিয়ে গিয়েছিলাম। দেশের সব সম্ভাবনা তখন ধ্বংস হয়ে গেছিল।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা নির্মমভাবে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে থাকায় রক্ষা পান। এরপর তিনি দেশে ফিরে বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
নানা বিদেশি মহল দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মদদ দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীর এখনো পদে পদে ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশের উন্নয়নকে মেনে নিতে পারছে না। শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে এটি তারা মেনে নিতে পারছে না। তাদের হিংসে হচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ না। তারা বিদেশে বসেও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তাদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরও সংগ্রাম করতে হবে। এই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। এরা দেশের শান্তি নষ্ট করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চায়। বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে চায়। এরাই ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশকে পাকিস্তানের আদলে গড়তে চেষ্টা করেছে।
কৃষিবিদদের উদ্দেশ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশের কৃষি শিক্ষার গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। কৃষিবিদদের সম্প্রীতি কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পরিষদের সভাপতি মো. খাইরুল আলম নান্নু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পরিষদের সাবেক সভাপতি এডিশনাল রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার আমজাদ, সহ-সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মো. মাহমুদুল কবীর, এডিশনাল ট্রেজারার মো. আতিকুজ্জামান রয়েল, ক্রীড়া পরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিবলী নোমান, এডিশনাল ডাইরেক্টর ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগ মোহাম্মদ মোস্তাইন কবীর সোহেল ও উপ- পরিচালক এডিশনাল শাহ ফছি উল্লাহ অপু, এডিশনাল রেজিস্ট্রার সৈয়দ মাসুদুল হাসান আতিক, ডেপুটি রেজিস্টার জহিরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান হৃদয়, বাকসুর সাবেক ভিপি আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শামসুদ্দিন আল আজাদ, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক এম এম মিজানুর রহমান প্রমুখ।