তীব্র খিদায় “পূর্ণিমার চাঁদ”-কে “ঝলসানো রুটি” বলেছিলেন কবি। পেটের জ্বালা যে কী জ্বালা, যাঁদের দু’বেলা দুমুঠো জোটে না, তাঁরাই একমাত্র বোঝেন। বিশ্বের নানা দেশে খাবার অপচয় বন্ধ করতে আবেদন-নিবেদন এখনও হয়।
তবুও এখনও বিশ্বের নানা প্রান্তে খালিপেটে, আধপেটা খেয়ে শুতে যান অনেকে। এখনও অনেক জায়গাতেই দেদার অপচয় হয় খাবারের। তা সে বড় বড় রেস্তরাঁই হোক বা সুপার মার্কেট। খাবারের অপচয়ের তালিকা থেকে বাদ যায়না এরাও।
যেখানে একমুঠো অন্নের জন্য হাহাকার, আর্তি। অনেক দেশের সরকার শুধুমাত্র সচেতনামূলক প্রচারের মাধ্যমেই খাদ্যের অপচয় রোখার চেষ্টা করে। এবার কিন্তু খাদ্যের অপচয় রুখতে বেশ কঠিন দৃঢ়তা দেখাল ফ্রান্স সরকার। খাদ্যের অপচয় রুখতে নতুন আইন আনল তারা।
এই আইন অনুযায়ী খাদ্যের অপচয় করলেই সুপারমার্কেটগুলিকে ব্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, সুপারমার্কেটের মালিকদের প্রথমেই সরকারি চুক্তিপত্রে সই করতে হবে। আর আইন না মানলে তাঁদের জরিমানা এমনকী কারাগারেও যেতে হবে।
আইনে বলা হয়েছে, অবিক্রিত খাবারকে না ফেলে এখন থেকে তা খেতে না পাওয়া মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ফুড ব্যাঙ্কেও দান করতে হবে। এখন এই আইন শুধুমাত্র সুপার মার্কেটগুলির উপর প্রযোজ্য। কিন্তু, ভবিষ্যতে তা রেস্তরাঁ, স্কুল ক্যান্টিন, কম্পানি ক্যান্টিনের উপরও লাগু হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
আর ফ্রান্সে সাফল্য পাওয়ার পর এবার অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশগুলিতেও এই আইন চালু করাই লক্ষ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির।