দেশেই তৈরি হবে স্মার্টফোন-ট্যাব—-পলক
গাজীপুর প্রতিনিধি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ প্রয়োজন। বিদেশ থেকে এসব আমদানি করতে প্রচুর টাকা বাইরে চলে যায়। বাংলাদেশেই প্রথমবারের মতো শুরু হলো স্মার্টফোন ও ট্যাব তৈরির কার্যক্রম। গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের ৫ নম্বর ব্লকে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার যৌথ উদ্যোগে এসব ডিভাইস তৈরি করা হবে। কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক নির্মাণ হলে আগামী ১০ বছরে প্রায় ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে যা জিডিপিতে বিশেষ অবদান রাখবে।
রোববার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে সামিট টেকনোপোলিস লিমিটেড প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপনা নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন তৈরির কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় হাইটেক পার্কের ৫ নম্বর ও ২ নম্বর ব্লকে সামিট টেকনোপলিস লিমিটেডের গ্রাউন্ড ব্রেকিং উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে আমরা হাইটেক পার্কের ৫ নম্বর ব্লকের এক একর জমিতে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ তৈরি করবো। এখানে লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এ কাজে শ্রীলংকা আমাদের পাশে থাকবে। তিনি আরো বলেন, আজকে অত্যন্ত আনন্দের দিন। কারণ, বাংলার মাটিতে তৈরি হবে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ। সে কাজই শুরু হতে যাচ্ছে। ‘প্রতি বছর তিন লাখ ল্যাপটপ ও ৫ কোটি মোবাইল ফোন আমদানি করতে হয়। এ বছরও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ল্যাপটপ বিতরণ করেছি। এসব ডিভাইস আর আমদানি করা লাগবে না। এই হাইটেক পার্ক থেকেই দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবো’- বলেন পলক। হাইটেক পার্কের ২ ও ৫ নম্বর ব্লকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা, শ্রীলংকার হাই কমিশনার মি: সানজিবা , হাই টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনেয়ারা বেগম ও কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল ।
কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে ২৩২ একর ভূমির মূল পার্কটির ২ নং ব্লকে ৬২ একর ও ৫ নং ব্লকের ২৯ একর জায়গায় সামিট টেকনোপোলিস লিমিটেডের সিগনেচার বিল্ডিং ও মেনোফেকচারিং বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজ শুরুর মধ্যে দিয়ে পার্কটির যাত্রা শুরু হলো। ব্লক দুটিতে এই ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানটি ২০৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন শ্রীলংকার এই বিনিয়োগকারী। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ ও বিস্তার ঘটানো এই পার্ক স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য।