কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে ভোটান কাজ করতে আগ্রহী–গাজীপুরে ভোটানের কৃষি ও বন মন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি : ভূটানের কৃষি ও বন মন্ত্রী “Mr. Yashi Dorji” বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে আসেন। মাননীয় মন্ত্রী বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয়ের সম্মুখে এসে পৌঁছলে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডল তাঁকে উষ্ণ ফুলের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন বিএআরআই এর সম্মেলন কক্ষে মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম, অগ্্রগতি ও সাফল্য তুলে ধরে মাননীয় মন্ত্রী-কে অবহিত করেন। এ সময় ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনের পর ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানদের সাথে মাননীয় কৃষি ও বন মন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভূটানের কৃষি বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম ও অগ্রগতি স¤পর্কে মত বিনিময় কালে তিনি স্বল্পমেয়াদীজাত উদ্ভাবনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন, যা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবেলায় সহায়ক হবে। ভূটান সর্ব প্রথম বাংলাদেশকে স¦াধীনতা স¦ীকৃতি দিয়েছেন। বাংলাদেশের ন্যায় ভুটানেও মোট জনসংখ্যার প্রায় আশি ভাগ কৃষি কাজে নিয়োজিত। বাংলাদেশ ও ভূটানের কৃষিখাত একই প্রকৃতির তবে ভুট্টা ও ধান ভূটানের প্রধান ফসল। এছাড়া গম, তৈলবীজ, আলু, সয়াবিন এবং ফল এখানে উৎপাদন হয়। ভূটানে অরেঞ্জ, আপেল, কার্ডামম (এলাচ) ও সাইট্রাস জাতীয় ফল উৎপাদন ভালো হয় যা বাংলাদেশেও রপ্তানী হয়ে থাকে।
মাননীয় কৃষি ও বন মন্ত্রী বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব গবেষণাগার, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফুল, ফল,সবজি গবেষণা, চার ফসল ভিত্তিক ফসলধারা গবেষণা তৈলবীজ গবেষণা এবং টিস্যু কালচার ল্যাব পরিদর্শন শেষে উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল গবেষণা মাঠে একটি “বারি আম-১১” ফলের চারা রোপন করেন। তিনি ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম, অগ্রগতি ও সাফল্য দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।